• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মাতৃহারা শিশুর ওপর এ কেমন নৃশংসতা!


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২২, ০৯:০৭ এএম
মাতৃহারা শিশুর ওপর এ কেমন নৃশংসতা!

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চর বালিথা এলাকার মরিচ্চাপ নদীর পাড় থেকে আলিফ হোসেন ফারহান (৭) নামে এক শিশুকে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শিশুটির মামি রানি বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ফারহান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চরবালিথা গ্রামের মঈনুদ্দীন সরদারের প্রথম পক্ষের ছেলে। 

উদ্ধারকারী চরবালিথা গ্রামের আশিকুজ্জামান জানান, মরিচ্চাপ নদীর পাড় দিয়ে হেটে বাড়ি ফেরার সময় সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে একটি শিশুকে বেড়িবাঁধের ওপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে চিৎ করে দিতেই তাকে আলিফ হোসেন ফারহান বলে চিনতে পারেন। তার দুচোখ ধারালো কিছু দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। আর ঠোঁট কেটে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। তৎক্ষণাৎ তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। 

শিশুটির বাবা মঈনুদ্দীন সরদার বলেন, “আমার প্রথম স্ত্রী শারমীন সুলতানা মারা যাওয়ার পরে ফারহান একই গ্রামে তার নানী সকিনা খাতুনের কাছে থাকত। সৎ মায়ের অত্যাচার ছেলেটাকে যেন সইতে না হয় তার জন্য নানীর কাছে রাখা হয়েছিল।”

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পারভীন আক্তার বলেন, “আমরা আশঙ্কা করছি, ফারহানের দুটো চোখই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার ঠোঁট, গলা ও গায়ের কয়েক জায়গায় কাটা দাগ রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েল হোসেন জানান, স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মামি অত্যাচার করে ওই শিশুকে নদীর বেড়িবাঁধে ফেলে রেখেছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির মামি রানি বেগমকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি দেবহাটা থানার মধ্যে, তারা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

Link copied!