বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন। রোববার (১৬ জানুারি) সকাল ৮টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এদিকে নির্বাচনের অন্যতম মেয়র প্রার্থী স্বতন্ত্র থেকে দাঁড়ানো হাতি মার্কার তৈমূর আলম খন্দকার ভোট দিয়েছেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
ভোট দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, “আল্লাহর রহমতে লক্ষাধিক ভোটে জিতব আমি।”
এছাড়া ভোটগ্রহণ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত ভোট ভালোভাবে চলছে। সারা দিন গেলে আরো বোঝা যাবে।”
হাতি মার্কার এই প্রার্থী আরো বলেন, ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা চালু থাকলে ভালো হতো।
গত ৩০ নভেম্বর এই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন। আইভী-তৈমূর ছাড়াও অন্য মেয়র প্রার্থীরা হলেন খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া) নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৩৪ জন প্রার্থী।
নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ নির্বাচনে ১৯২টি ভোট কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। প্রতি কেন্দ্রে থাকবেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ২৬ সদস্য।
সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানান, নারায়ণগঞ্জে আলাদাভাবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই, সবগুলো কেন্দ্রকেই বিশেষ বিবেচনায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ১৯২টি ভোট কেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন এসআইয়ের নেতৃতে থাকবেন পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য। এছাড়াও আটজন পুরুষ ও চারজন নারী আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।