দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাম জোটের ডাকা হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি পাবনায়। শহরের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার (২৮ মার্চ) বেলা ১০টায় পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোড, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, পাবনা-ঢাকা, পাবনা-রাজশাহী, পাবনা-কুষ্টিয়া, পাবনা-আটঘরিয়া, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর রুটসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে হরতালের কোনো প্রভাব চোখে পড়েনি।
দোকানপাট, অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ আর্থিক সকল লেনদেন কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই পরিচালিত হচ্ছে। সময় ধরেই নানা পেশাজীবী মানুষ নিজ নিজ কর্মস্থলে বের হয়েছেন। পরিবহন চলাচলও স্বাভাবিক।
গণসংহতি আন্দোলন পাবনা জেলা শাখার আহবায়ক মির্জা রানা বলেন, “পারিবারিক কাজে সংগঠন থেকে ১৫ দিন আগে থেকে দূরে রয়েছি। হরতালসহ নানা কর্মসূচির সঙ্গে আপাতত আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) পাবনা জেলা শাখার সভাপতি সালফি আল ফাত্তাহ বলেন, “২৩ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ রাত পর্যন্ত নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবে হরতাল ঘিরে কোনো পিকেটিং, সভা সমাবেশ বা সড়ক অবরোধের কর্মসূচি রাখা হয়নি।”
সিপিবির এই নেতা আরও বলেন, “হরতাল আছে, তবে হরতাল বাস্তবায়নে কোনো কর্মসূচি না থাকায় নিরুত্তাপ হরতাল চলছে। হরতাল পালন করতে জেলার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেছি। জনগণ সচেতন না হলে কিছু করার নেই।”
গণমাধ্যম ও উন্নয়ন কর্মী কামাল সিদ্দিকী বলেন, “বাম দলের হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি। বাম দলের এই হরতালে সাধারণ জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই। বাস্তব চিত্রে মনে হচ্ছে জনগণ জানে না আজ হরতাল চলছে।”