সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ফেনসিডিল বিক্রির টাকা না দিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাদক ব্যবসায়ী তবিবর রহমান।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌর প্রেসক্লাবে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
মাদক ব্যবসায়ীর নাম তবিবর রহমান (৩২)। তিনি কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে তবিবর রহমান বলেন, “উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া গ্রামের মুক্তার আলীর ছেলে ও মাদককারবারি আব্দুল্লাহ ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি সাত হাজার ৮০০ টাকা ও ১৭ জানুয়ারি ৫২ হাজার ২০০ টাকার ফেনসিডিল কেনেন। আমি সেই টাকা তার কাছে পাবো। এখন টাকা না দেওয়ার বাহানায় রিপোর্টার আব্দুল্লাহ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে আমার কণ্ঠ নকল করে একটি অডিও রেকর্ড বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে দিচ্ছে।”
তবিবর আরো বলেন, “গত ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরা জেলখানা থেকে বের হয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাসিরউদ্দীন মৃধা স্যারের কাছে ১০১ বার কান ধরে উঠবস করি ও মাদকের সঙ্গে জড়িত হবো না মর্মে মুচলেকা দেয়। একইসঙ্গে লিখিতভাবে পুলিশ সুপার স্যারকেও মুচলেকা দেবো। এছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো কাজে আমি জড়িত হবো না মর্মে অঙ্গীকার করেছি। বর্তমানে আমার কণ্ঠ নকল করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে ঘটনাটি তদন্তের দাবি করছি। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
এই অভিযোগের বিষয়ে গয়ড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ বলেন, “ফলের ব্যবসা করতে চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী তবিবর রহমান ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল ফলের ব্যবসার আড়ালে মাদকের ব্যবসা শুরু করলে তার ফলের ব্যবসায় ধ্বস নামে পাওনা টাকা পরিশোধ করবে না বলে। পরে মাদকের ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কথা সমাজে রটাচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীর হাত থেকে রক্ষা পেতে কলারোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মাদকের ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগে তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেটা মূলত পাওনা টাকা পরিশোধ না করতে এমন তালবাহানা করছেন।”
এ সময় তার সুবিচার পেতে প্রশাসনের নিকট সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা বলেন, “সংবাদ সম্মেলনের ঘটনাটি কেউ জানায়নি। তবে কেউ ভালো হতে চাইলে তাকে অবশ্যই ভালো হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এছাড়া পাওনা টাকার বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তবে মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে তবিবুরের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী বাবলুর গরু বিক্রি করা টাকা না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাব ইন্সপেক্টর এসআই ইসমাইল হোসেন বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।