• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জামানত হারালেন নৌকার ৩ প্রার্থী


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২১, ০৩:৪৮ পিএম
জামানত হারালেন নৌকার ৩ প্রার্থী

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৯টিতেই নৌকা প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। মাত্র একটিতে নৌকার প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। আর জামানত হারিয়েছেন আওয়ামী  লীগের তিন প্রার্থী। জানা যায়, কোনো প্রার্থী মোট কাস্টিং ভোটের ১২.৫% ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

নৌকা প্রতীকের একমাত্র বিজয়ী প্রার্থী হলেন শেখর ইউনিয়নের কামাল আহমেদ। কামাল আহমেদ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৭৩ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৮৬ ভোট।

বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আব্দুল হক শেখ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩ হাজার ৫৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত এ কে এম হামিদুল বারি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ২০১ ভোট, নৌকা পেয়েছে ৮৭০ ভোট।

ময়না ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল হক মৃধা হাতপাখা প্রতীকে ৫ হাজার ৬৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের পলাশ বিশ্বাস পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৪৮ ভোট।

চতুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মহম্মদ রফিকুল ইসলাম চশমা প্রতীকে ৪ হাজার ৫৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম আলিমুজ্জামান পেয়েছেন ৪ হাজার ২৬৬ ভোট। এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খোন্দকার মো. আবুল বাসার ৭১৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

গুনবহা ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত মো. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ) চশমা প্রতীকে ৪ হাজার ৯০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী  মু. আমিনুল ইসলাম মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ১৮১ ভোট। এই ইউনিয়নে নৌকা ১ হাজার ৮২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

সাতৈর ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত রাফিউল আলম মিন্টু ৫ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার মজিবর রহমান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।

ঘোষপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমরান হোসেন নবাব আনারস প্রতীকে ৬ হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার মো. ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ৯১৩ ভোট।

রূপাপাত ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মোল্যা আনারস প্রতীকে ৪ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার মো. মহব্বত আলী পেয়েছেন ৩ হাজার ২০৪ ভোট।

পরমেশ্বর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মান্নান মাতুব্বর ঘোড়া প্রতীকে ৪ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাব্বির মিনা অনিক পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৪৫ ভোট। নৌকা এ ইউনিয়নে রয়েছে চার নম্বরে।

দাদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ৫ হাজার ১২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মো. শামীম মোল্যা চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ১১০ ভোট। নৌকার শেখ সাজ্জাদুর রহমান হাই ১ হাজার ১৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

নৌকার প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্তের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করলে অন্য একজন ফোন রিসিভ করে বলেন, তিনি (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) ভুলে ফোন বাসায় রেখে গেছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশারফ হোসেন মুশা মিয়া বলেন, “নৌকার তিন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে কি না, আমার জানা নেই। আমরা হেরে গেছি এতটুকু জানি। এর বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না।”

Link copied!