• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দেবরকে বিয়ে করতে ভাবির অনশন


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২, ০৭:৫৮ পিএম
দেবরকে বিয়ে করতে ভাবির অনশন
বিয়ের দাবিতে দেবরের ঘরে অনশনরত নারী। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

নিজ দেবরকে বিয়ের দাবিতে আমরণ অনশন করছেন বড় ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী এক নারী। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত থেকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের আফড়া হিন্দু পাড়ার প্রেমিক দেবর ইব্রাহিম শেখের ঘরে অবস্থান নিয়েছেন ওই নারী। 

অভিযুক্ত ইব্রাহিম শেখ আফড়া গ্রামের মৃত মোকারম শেখের ছোট ছেলে। ভাবির অবস্থানের খবর পেয়ে ইব্রাহিম লাপাত্তা বলে জানা গেছে।

অনশনরত নারীর দাবি, ১৫ বছর আগে দেবর ইব্রাহিমের বড় ভাই হেলাল ড্রাইভারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী প্রায় সময়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন। এ সময় তিনি তার ছোট দেবর ইব্রাহিমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার গোপনে অন্যত্র তার ইব্রাহিমের বিয়ে ঠিক করে পরিবার। আগামিকাল শুক্রবার ইব্রাহিমের বিয়ের দিন ধার্য হয়। এ খবর পেয়ে বিয়ের দাবিতে দেবরের ঘরে অনশনে বসেন ভাবি। এরপর প্রেমিক দেবর ইব্রাহিম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। 

অনশনরত ওই নারী আরও জানান, বিয়ের পর থেকেই ছোট দেবর ইব্রাহিমের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক করে ওঠে। আমি বিয়ের কথা বললে নানান বাহানা দেখিয়ে অনেক বছর নানা-ছলে পাশ কাটিয়ে যায় ইব্রাহিম। দু বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা করে বাবার বাড়ি চলে গেলে ইব্রাহিম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফিরে আসতে বলে আমাকে। গত সোমবারে আমাকে শাহজাদপুুর মসজিদে গিয়ে কোরআন শরীফ মাথায় নিয়ে শপথ করছে দু-চারদিনের মধ্যে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে। এখন আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রেখে গোপনে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করেছে। আমি জানার পরে দেবর ইব্রাহিমের ঘরে বিয়ের দাবিতে বসে আছি। বিয়ে না করলে দেবরের ঘরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করব। 

দেবর ইব্রাহিম। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে অভিযুক্ত ইব্রাহিম বলেন, “ভাবির সঙ্গে আমার কোনও প্রেমের সম্পর্ক নেই। সে আমার বিয়ের কথা শুনে ষড়যন্ত্র করে আমার বিয়ে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সে এর আগেও আমার দুই-তিনটা বিয়ে ভেঙে দিয়েছে।” 

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু দায়েন কালু জানান, বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি তবে মীমাংসার জন্য আমাকে বা ইউনিয়ন পরিষদে কেউ আসেনি। 

জানতে চাইলে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

Link copied!