চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় অপহরণের এক সপ্তাহ পর নারায়ণগঞ্জ থেকে আনিকা তাবাসসুম (১৫) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে অপহরণের অভিযোগে সেলিম হোসেন (২৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে অভিযুক্ত সেলিমকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সেলিম নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার শান্তিনগর এলাকার জালাল শিকদারের ছেলে।
আনিকা চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে ও দর্শনা ডি এস ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা-মা দুজনেই সৌদিপ্রবাসী। সে সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে তার মামার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করত।
পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের মুজিব পাড়ার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া আনিকা তাবাসসুম ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হয়। এ বিষয়ে তার পরিবার থেকে দর্শনা থানায় অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ পেয়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ। অভিযানের একপর্যায়ে পুলিশ সন্ধান পায় তাকে নিয়ে রাখা হয়েছে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকায়। পরে দর্শনা থানা পুলিশ ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে অভিযান চালায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। সেখান থেকে অপহৃত আনিকাকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় অপহরণ মামলার প্রধান আসামি সেলিম হোসেনকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর বলেন, “অপহরণের অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনায় ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন। আদালতে ছাত্রীর ২২ ধারায় আজ জবানবন্দি রেকর্ড হবে। সেই সঙ্গে অপহৃত মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না বিষয়টি নিশ্চিত করতে তার মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে।”