গোপালগঞ্জে জাহিদুল ইসলাম বাবু (১৬) নামের এক ইজিবাইকচালককে হত্যার মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়ার নতুন চর গ্রামের বাবুল ফকিরের ছেলে খালিদ ফকির, আনিচ ফকিরের ছেলে মো. বিপুল ফকির, শুকুর মোল্লার ছেলে রাজ্জাক মোল্লা, কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের ব্যাসপুর গ্রামের মো. খলিল শেখের ছেলে মো. হাসান শেখ ও নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার চাচাই গ্রামের মো. খোকন মোল্লার ছেলে মো. ফসিয়ার মোল্লা। আসামিরা সবাই পলাতক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর খালিদ ফকির ফোন করে ইজিবাইক চালক জাহিদুল ইসলাম বাবুকে জেলা শহরের কাঁচাবাজার সংলগ্ন মেইন রোডে আসতে বলেন। এরপর থেকে জাহিদুল ইসলাম নিখোঁজ হন। একই বছরের ২ অক্টোবর পুলিশ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভুলবাড়ীয়া ব্রিজের পাশ থেকে জাহিদুলের মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই দিনই জাহিদুলের বাবা মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা বাদী হয়ে খালিদ ফকির ও রাজ্জাক মোল্লাকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মো. হাসান শেখের বাড়ী থেকে ইজবাইকটি উদ্ধার করে। এরপর পুলিশ মো. হাসানসহ মোট পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
আদালতে সরকাপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. শহিদুজ্জামান খান ও আসামিপক্ষে মো. ফজলুল রহমান খান মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার বাদী ও নিহতের বাবা মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, “আমার ছেলেকে এই পাঁচজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন পর আমি ছেলে হত্যার বিচার পেয়েছি। এ রায়ে আমি ও আমার পরিবার খুশি। আমাদের দাবি দ্রুত এ রায় কার্যকর করা হোক। যাতে কেউ আর এ ধরনের কাজ করতে সাহস না পায় এবং কেউ যেন তার সন্তানকে এভাবে না হারায়।”
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোক্তার আলী বলেন, এ রায়ে এ পরিবারটি ন্যায়বিচার পেয়েছে। আশা করি উচ্চ আদালতে এ রায় বহাল থাকবে এবং রায় কার্যকর হবে।