• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অবরুদ্ধ শেখ মুজিব মেডিকেলের পরিচালক


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২২, ০৩:৪৫ পিএম
অবরুদ্ধ শেখ মুজিব মেডিকেলের পরিচালক

করোনাকালে প্রণোদনার টাকা না পেয়ে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করেন হাসপাতালটির নার্স, ওয়ার্ড বয় ও কর্মচারীরা।

বুধবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পরিচালকের কক্ষে অবস্থান নেন হাসপাতালের বিক্ষোভকারীরা। পরে চিকিৎসক নেতাদের মধ্যস্থতায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রণোদনার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যান। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নার্স জানান, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাকালীন সময়ে যে সকল নার্স দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার কথা থাকলেও তা না পাওয়ায় তারা হাসপাতালের পরিচালককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ হাসপাতালের পরিচালকের অপসারণ দাবি করেন তারা। ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে রোগীদের সেবা দেওয়া বন্ধ করে দেন তারা। পরে প্রণোদনার টাকা পাওয়ার আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত‍্যাহার করে নেন তারা।

হাসপাতালটির নার্স ও ওয়ার্ড বয় অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-মহাসচিব আফসানা আক্তার শান্তা বলেন, “যারা করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়েছেন তাদের জন্য গত বছরের জুলাইয়ে সরকার ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু আমাদের পরিচালকের খামখেয়ালির কারণে সেই প্রণোদনার মধ্যে ১ কোটি টাকা ফেরত চলে গেছে।”

আফসানা আক্তার শান্তা আরও বলেন, “আমরা এই অযোগ্য পরিচালকের অপসারণ দাবি করছি। পাশাপাশি আমাদের ন্যায্য পাওনা দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুর রহমান বলেন, “টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পর আমরা একটি কমিটি গঠন করি দেই। সেই কমিটির তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়, সেখান থেকে জানানো হয় প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। এ খবর জানতে পেরে কিছু হাসপাতালের স্টাফ বিক্ষোভ করেছেন।”

আশা করছি দ্রুতই সমস্যা নিরসন হবে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়। নার্সদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।”

ফরিদপুরের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. আব্দুল জলিল বলেন, “বিক্ষোভের খবর পেয়েই আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারিদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দশ দিনের সময় নেওয়া হয়েছে। তারা আশ্বস্ত হয়ে আবার কাজে ফিরে গেছেন।”
 

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!