ঘন কুয়াশার সঙ্গে ফরিদপুরে জেঁকে বসেছে শীত। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত কমছে তাপমাত্রা। দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে যানবাহনগুলোকে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি মাসের শেষ দিক থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ফরিদপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের বেলা দীর্ঘক্ষণ কুয়াশা থাকায় রোদের প্রখরতা তেমন থাকছে না। জরুরি প্রয়োজন না থাকলে মানুষ ঘর থেকে কম বের হচ্ছেন। কনকনে ঠান্ডায় কৃষিজীবীসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা কাজে বের হওয়া নিয়ে বিপাকে পড়ছেন।
ফরিদপুরের সালথা এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মাতুব্বর বলেন, “এখন ধানের বীজ বপন করার সময়। মাঠে পেঁয়াজ আছে। যদি এভাবে কুয়াশা পড়ে তাহলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেবে। এ সময়ে কৃষকেরা খুব ভয়ে থাকেন। কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা থাকায় ফসলে কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে।”
ফরিদপুর শহরের আলিপুর এলাকার বাসিন্দা কুদ্দুস শেখ বলেন, “ইজিবাইকের চলাচল কম হওয়ায় যাত্রী ভালো পাওয়া যায়। তবে কয়েক দিন ধরে সকালে যাত্রীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। ইজিবাইক চালাতে গিয়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় হাত-পা জড়ো হয়ে যায়।”
ফরিদপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “প্রতিদিন তাপমাত্রা কমছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা ছিল। এ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।