• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

শীত-কুয়াশায় কাঁপছে তেঁতুলিয়া


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩, ১১:৪০ এএম
শীত-কুয়াশায় কাঁপছে তেঁতুলিয়া
হিমেল বাতাসে অনুভূত হয় কনকনে শীত। ছবি : সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। হিমালয়ের পাদদেশে দেশের উত্তরের এই জনপদে রাতভর হিমেল বাতাসে অনুভূত হয় কনকনে শীত। দিনের বেলায়ও বাতি জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। 

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়ায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ সকাল ৯টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে জেলাজুড়ে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

রাসেল শাহ জানান, চলতি মাসের শেষের দিকে তাপমাত্রা কমে আসবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমবাতাস। সন্ধ্যার পর থেকে চারপাশ কুয়াশায় ঢেকে যায়। গভীর রাত থেকে হিম হিমেল হাওয়ার সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফোটার মতো ঝরে পড়ে ঘন কুয়াশা। অতিপ্রয়োজনে বাইরে গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে বেরোলে হলেও কুয়াশায় ভিজে যাওয়ার উপক্রম হয়। দিনের মাঝামাঝি কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও নেই তেমন উত্তাপ। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

বিশেষ করে তীব্র শীতে খেটে খাওয়া মানুষের চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে সকালে কাজে যোগ দেওয়া কৃষি শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগ বেশি চরমে পৌঁছেছে।

শীতের কারণে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন না। সড়কে মানুষের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ভ্যান ও রিকশাচালকরা।

তেঁতুলিয়া উপজেলার বাসিন্দা রিকশাচালক আব্দুল হক বলেন, কয়েক দিন ধরেই তীব্র শীত পড়েছে। শীতে রিকশা-ভ্যান চালানো যাচ্ছে না, শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের না হওয়ায় যাত্রী পাচ্ছি না। এতে আমাদের আয় কমে গেছে।

Link copied!