• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

মহাসড়ক দখল করে ট্রাক স্ট্যান্ড, বাড়ছে দুর্ঘটনা


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৩, ০৩:১২ পিএম
মহাসড়ক দখল করে ট্রাক স্ট্যান্ড, বাড়ছে দুর্ঘটনা

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২৯ মাইল এলাকায় মহাসড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ ট্র্রাক স্ট্যান্ড। সড়কের এক পাশ দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা এই পার্কিংয়ে প্রতিদিন মালবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকছে। ফলে প্রায় এক কিলোমিটার সড়কজুড়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক যানজট। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি বেড়েছে দুর্ঘটনা।

ঠাকুরগাঁও শহরের প্রবেশমুখের এ সড়কটির এক পাশে নদীর খাদ ও দুটি বড় বড় বাঁক থাকায় এখানে প্রতি মাসেই অন্তত দু-তিনটি বড় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ২৯ মাইল বাজার এলাকা। এ বাজারের সড়ক বিভাজনের সঙ্গে গড়ে উঠছে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড। এ ট্রাক স্ট্যান্ডের কারণে দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে সড়কটি। এতে যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, আগে এখানে কোনো ট্রাক টার্মিনাল ছিল না। কয়েক বছর ধরে এ এলাকাটি অঘোষিত ট্রাক টার্মিনালে পরিণত হয়েছে।

শহিদুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক স্কুলশিক্ষক বলেন, “বিকেল হলে এ পথ দিয়ে চলাচল করা যায় না। মহাসড়কের এই অংশে একটি স্কুল ও দুটি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হয়। বিষয়টি হাইওয়ে থানা-পুলিশকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে হাইওয়ে থানা-পুলিশের ভূমিকা রাখা দরকার।”

দূরপাল্লার কোচ চালক বেলাল হোসেন জানান, “সড়কের পাশে এমনভাবে গাড়িগুলো থাকে মাঝখান দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে অনেক কষ্ট হয়। পাশে নদী থাকায় গাড়ি উল্টে যাওয়ারও ভয় থাকে।”

ট্রাকচালক হেলাল উদ্দিন বলেন, পঞ্চগড় ও তেঁতুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার মালবোঝাই ট্রাক এখানে থামে। গরমের কারণে চাকা ঠান্ডা করার জন্য। তবে একসঙ্গে এত ট্রাক থামানোটা ঠিক না।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) আমজাদ হোসেন বলেন, ঠাকুরগাঁও শহরের প্রবেশদ্বার ২৯ মাইল এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। এখানে প্রায়ই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে। অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশ দেখে।

বোদা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, “মহাসড়কের সাইড লাইন দখলকারী সব যানবাহন কিছুদিন আগে সরিয়ে দিয়েছিলাম। এসব যানবাহন পার্কিং না করতে চালকদের সতর্ক করেছি। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারা আবারও একই কাজ করায় আবারও অভিযান চালানো হবে।”

Link copied!