• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫
ঘূর্ণিঝড় মোখা

সেন্ট মার্টিন ছেড়েছেন হাজারো মানুষ


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৩, ০৮:৩৭ এএম
সেন্ট মার্টিন ছেড়েছেন হাজারো মানুষ

ঘূর্ণিঝড় মোখার আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন ছাড়তে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত ১১টা পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার মানুষ সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ সদরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বাসাবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা সংকেত জারি হওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যাপক মাইকিং করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে টেকনাফে চলে গেছে হাজারখানেক মানুষ।

মাহবুবর রহমান বলেন, সার্ভিস বোট, ফিশিং বোটসহ বিভিন্ন নৌযানে করে দ্বীপের বাসিন্দারা নিরাপদে চলে যাচ্ছেন। শুক্রবার আরও মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যাবেন।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সেই পরিস্থিতি এখনো হয়নি। তবে দ্বীপবাসীকে সতর্ক থাকতে প্রতিটি গ্রামে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সিপিপির ১৩০০ স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্বীপের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সাগরের বুকে জেগে ওঠা এই প্রবাল দ্বীপসহ মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফ নদের তীরে অবস্থিত শাহপরীর দ্বীপে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীও।

টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন বলছে, দুর্যোগে স্থানীয়দের জন্য উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও ডাকবাংলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ জোন হিসেবে সেন্ট মার্টিন, শাহপরীর দ্বীপের জন্য নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমসহ স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান বলেন, “সাগরের বুকে জেগে ওঠা বিচ্ছিন্ন সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্বীপের জন্য আমাদের নৌবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপে বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।”

Link copied!