• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে গ্রামের ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেন তারা


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম
ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে গ্রামের ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেন তারা

পঞ্চগড়ে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরে স্যামসাং শোরুমের তৃতীয় তলার বাংলাদেশ কনজুমার রাইটস সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় সংগঠনের আরও কয়েকজন পালিয়ে যান।

আটকরা হলেন সংগঠনের পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি মফিজুল ইসলাম (৫২), সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম (৪৭) ও সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম (৪৫)। তিনজনের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের ভূমিকা পালন করতেন আমিনুল ইসলাম।

ভুক্তভোগীরা জানান, আটকরা কয়েকজন মিলে একটি সংগঠনের করে নিজেদের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিলেন। গ্রামের সহজ সরল মানুষের দোকানে অভিযান চালিয়ে জরিমানার কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছিলেন টাকা। সোমবার (১ এপ্রিল) তাদের জরিমানা করা একটি রশিদ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পঞ্চগড় সহকারী পরিচালক শেখ সাদী তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা বাজারের দোকানদার তরিকুল ইসলাম বলেন, “তারা ৪ জন একটি মাইক্রোবাসে করে আমাদের বাজারে আসে। এ সময় নিজেদের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে আমাদের জানায় তাদের ২ লাখ টাকা জরিমানা করার ক্ষমতা রয়েছে। সেখান থেকে তারা প্রথমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করতে চায়। পরে দুই হাজার টাকা জরিমানা করে টাকা দিয়ে দ্রুত চলে যায়। পরে আমাদের সন্দেহ হলে আমরা বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হই এরা প্রতারক। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। যাতে আর কোনো গরিব মানুষের সঙ্গে এমন অন্যায় করার সাহস না পায়।”

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পঞ্চগড় সহকারী পরিচালক বলেন, “এই চক্রটি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করছিল। শুধু পঞ্চগড় নয় অন্য জেলাও এমনটি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা মামলা করছে।”

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, “তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে। এছাড়া এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

Link copied!