দিন গড়িয়ে রাত পেরুলেই পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গত দুদিনে রাজধানী ঢাকা ছেড়েছে লাখো মানুষ। আর ঈদের আগের দিনও সে যাত্রা অব্যাহত আছে। তবে শেষ মুহূর্তে মহাসড়কে তেমন যানজট না থাকলেও বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে।
বুধবার (২৮ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, নাড়ির টানে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মানুষ শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফিরছেন। দিনভর সিরাজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও যানজট নেই। সকালের দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে খোলা ট্রাক ও বাসের ছাদে যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়। তবে বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীদের অভিযোগ তাদের কাছ থেকে তিন গুন ভাড়া বেশি নেওয়া হয়েছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল কবীর বলেন, “মঙ্গলবার থেকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ অনেকটা বেড়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুন বেশি যানবাহন চলাচল করছে। তবে কোথাও যানজটের তৈরি হয়নি। মহাসড়কে যানবাহনগুলো যেন যানজট সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে নজর রেখে কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা তৎপর আছি।”
সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক বলেন, “সারারাত মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ছিল। এখনও সেই চাপ আছে। আমরা বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছি। সেতুর ওপার থেকে যানবাহনগুলো আসামাত্রই সেগুলোকে দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেন তারা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে ঢুকে যানজট সৃষ্টি করতে না পারে। তবে প্রচুর গাড়ির চাপ রয়েছে।”
তিনি বলেন, “তবে মহাসড়কে চাপ থাকলেও উত্তরের পথে কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। আশা করছি উত্তরবঙ্গের ঘরে ফেরা মানুষের গত ঈদের মতো এবারের ঈদযাত্রাও নির্বিঘ্ন হবে। এছাড়া যানবাহন ও ঘরেফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।”
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে রেকর্ড ৫৫ হাজার ৪৮৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে ৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। সব মিলে গাড়ির চাপ থাকলেও এই সড়ক দিয়ে যানজট মুক্তভাবে স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২২ জেলার মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :