• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সেন্ট মার্টিনে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩, ০১:৪২ পিএম
সেন্ট মার্টিনে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে সেন্ট মার্টিনে দ্বীপে বড় ধরনের কোনো ক্ষতির আশঙ্কা দেখছে না আবহাওয়া অফিস।

রোববার (১৪ মে) কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, “সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আশঙ্কা বেশি। তবে সেন্ট মার্টিনের দুই দিক যেহেতু খোলা রয়েছে এবং পানি চলাচলের সুবিধা আছে, তাই বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না। কারণ, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ওই অঞ্চলে পানি জমবে না।”

এদিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে রক্ষা পেতে শনিবার দুপুর থেকে এ পর্যন্ত ৬৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি জানান, মোখা টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ঘেঁষে যাবে বলে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দ্বীপের তিন হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য টেকনাফে চলে এসেছে। এ ছাড়া দ্বীপের ৩৭টি হোটেল-রিসোর্টে সাড়ে চার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

অন্যদিকে কক্সবাজারের ৬৬টি হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউস মালিক সমিতি।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, “কক্সবাজারে দুর্যোগপূর্ণ সময়ের কথা বিবেচনা করে আমরা ৬৬টি হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছি। এতে অন্তত অর্ধলাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।”

কক্সবাজার জেলায় ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে। এসব ক্যাম্পে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা।

জেলা প্রশাসন কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার জেলায় সিসিপির ৮ হাজার ৬০০ জন এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ২ হাজার ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। সেন্ট মার্টিনে নেভি, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ ৩৭টি সরকারি স্থাপনা রয়েছে। তাই সেখানে সরকারি স্থাপনাগুলো সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগকালের জন্য ২০ লাখ নগদ টাকা রাখা হয়েছে, যার মধ্যে ১০ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ৫ দশমিক ৯০ মেট্রিক টন চাল, ৩ দশমিক ৫ মেট্রিক টন টোস্ট বিস্কুট, ৩ দশমিক ৪ মেট্রিক টন শুকনা কেক, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন ও ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রাখা হয়েছে। জেলায় প্রস্তুত ৬৩৬টি সাইক্লোন শেল্টারে ৫ লাখ ৫ হাজার ৯৯০ মানুষ থাকতে পারবে।

Link copied!