• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

‘নারী নেতৃত্ব হারাম’ বলা সেই ইউপি চেয়ারম্যান ব্যাখ্যা দিলেন আদালতে


মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৪, ০৫:৩৯ পিএম
‘নারী নেতৃত্ব হারাম’ বলা সেই ইউপি চেয়ারম্যান ব্যাখ্যা দিলেন আদালতে

‘নারী নেতৃত্ব হারাম’ বলে বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে নৌকার বিপক্ষে ভোট চাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদার আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বাগেরহাট-৩ এর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান বাগেরহাটের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক ওবায়দা খানমের কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে শোকজের ব্যাখ্যা দেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে একরাম ইজারাদার জানান, আদলতে তিনি তার জবানবন্দিতে বলেছেন ৪১ সেকেন্ডের যে বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে তা কাটপিস করা হয়েছে। এটা পুরো বক্তব্য না। মূলত জামায়াত অধ্যুষিত ওই এলাকায় ভোটের প্রচারণা করতে গেলে নারী নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে এ কথাগুলো তিনি বলেছেন। যা পরবর্তীতে কাটপিস করে ভাইরাল করা হয়।

তবে এ ঘটনায় আদালত তাকে শাসিয়েছেন এবং সতর্ক করেছেন একরাম জানান। তিনি এ ধরনের কাজ পুনরায় না করার অঙ্গীকার করেছেন আদালতের কাছে ।

এর আগে, বুধবার এ তলব আদেশ দেন বাগেরহাট-৩ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ওবায়দা খানম।

ওবায়দা খানম বলেন, “বাগেরহাট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের (ঈগল প্রতীক) পক্ষে প্রচারণায় সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে হাবিবুর নাহারের (নৌকা) বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। নির্বাচনী আচরণ বিধির ১১(ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে তাকে (একরাম ইজারদার) বৃহস্পতিবার আমার কার্যালয়ে সশরীরে এসে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।”

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচারণ বিধিমালার ১১(ক) ধারা উল্লেখ আছে, নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করিয়া বক্তব্য প্রদান বা কোনো ধরণের তিক্ত (উস্কানিমূলক বা মানহানিকর) বক্তব্য, লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিকে আঘাত লাগে এমন কোনো বক্তব্য প্রদান করিতে পরিবেন না।

সুন্দরবন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. একরাম ইজারাদার সম্প্রতি তার ইউনিয়নে ঈগল প্রতীকের এক সভায় বলেন, “আমরা গজবের ভেতর নিমজ্জিত আছি। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। জনমনে কোনো স্বস্তি নেই, শান্তি নেই; তার কারণ, নারী নেতৃত্ব হারাম। নারী নেতৃত্বের অধীনে আমরা এখানে রয়েছি। আমাদের ভোটটা আমরা বেগম হাবিবুন নাহারকে (আওয়ামী লীগের প্রার্থী) দুইবার (ভোট) দিয়ে আমরা নারী নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করছি। তাই আমাদের এখানে কোনো সুখ-শান্তি অবস্থান করে না। যেটা সত্য, সেই কথা আমি এখানে আপনাদের কাছে বলে গেলাম। উনি একজন নারী, উনি রাজনীতি আর সমাজনীতির বোঝেন কি? কিছুই বোঝেন না।”

এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

Link copied!