• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

গরমে কদর বেড়েছে তালের শাঁসের


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩, ১১:২৫ এএম
গরমে কদর বেড়েছে তালের শাঁসের

গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও তৃষ্ণায় স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালের শাঁস। ফলে প্রচণ্ড গরমে কুড়িগ্রামে কদর বেড়েছে রসালো এই ফলটির।

জেলা শহরের পৌরবাজার, হাসপাতাল মোড়, জিয়া বাজার, শাপলা চত্বর ও পশুর মোড়ে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি খুচরা পর্যায়ের ফল বিক্রেতারাও ভ্যানগাড়িতে করে বিক্রি করছেন এই ফল। শহরের ফুটপাতগুলোতে সহজলভ্য হওয়ায় এবং দাম কম থাকায় তালের শাঁসগুলো দ্রুতই বিক্রি করতে দেখা যায়।

কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ছাত্রাবাসে থাকা বন্ধুদের জন্য তালের শাঁস কিনছিলেন মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে যে ভ্যাপসা গরম পড়েছে আর লোডশেডিং তাতে মেসের মধ্যে পড়াশোনা করা কষ্টকর হয়েছে। একটু পিপাসা মেটানোর জন্য তালের শাঁস কিনেছি।”

জুয়েল রানা নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “বর্তমান বাজারে গ্রীষ্মকালীন অনেক ফলের মধ্যে তালের শাঁস আমার কাছে সব থেকে ভালো মনে হয়। কারণ এর মধ্যে কোনো ফরমালিন নেই। তাই এর প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায়।”

প্রতি ১০০ পিস তাল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে কিনলেও প্রতি পিস তালের শাঁস ১০ টাকা করে ও আস্ত তাল ২৫ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। প্রতিটি তালে ৩ থেকে ৪ টা শাঁস থাকে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কাদি করে তাল বিক্রি করেন বিক্রেতারা। অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় তাল বিক্রি করে খুশি অধিকাংশ ব্যবসায়ী।

পৌর বাজারের সামনে ভ্যানগাড়িতে করে তালের শাঁস বিক্রি করা অফিল উদ্দিন বলেন, “মাঝখানে তরমুজ ও লিচু বিক্রি করেছিলাম। সেখানে ব্যায় বেশি হলেও লাভ খুব সীমিত। দুই সপ্তাহ ধরে তালের শাঁস বিক্রি করছি মোটামুটি পুঁজি থাকছে।”

আরেক ব্যবসায়ী আছউদ্দিন বলেন, “গরম যত বাড়ে মানুষজন তালের শাঁস তত কেনেন। ভেজালমুক্ত থাকায় বেচা-কেনা ভালোই হচ্ছে। একটু কষ্ট হলেও সারাদিনে বেচা-কেনা করে খরচ বাদ দিয়ে হাজার-বারশো টাকার মতো লাভ হয়।”

জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুর এ মুর্শেদ বলেন, “পরিস্কার-পরিচ্ছন্নভাবে তাল বিক্রি করলে এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তালের শাঁসে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকায় নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। তীব্র গরমে শরীর ও পেট ঠাণ্ডা রাখতে তালের শাঁস খুবই উপকারী।”

Link copied!