টাঙ্গাইলে চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে আরও ৩১৪টি পরিবার ঘর পেয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশে একযোগে ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক উপকারভোগীদের হাতে ঘরের কবুলিয়ত দলিল তুলে দেন। এ সময় জেলার পাঁচ উপজেলাকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
জেলার বাসাইল উপজেলা পরিষদের হল রুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম, পৌরসভার মেয়র রাহাত হাসান টিপু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুন্নাহার রিতা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিউর রহমান গাউস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৫১৪টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪টি ঘর দেওয়া হলো। একই সঙ্গে জেলার নাগরপুর, মির্জাপুর, বাসাইল, কালিহাতী ও ঘাটাইল উপজেলাকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
এর আগে আরও ৪ উপজেলাকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ৯টিকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হলো।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার শিবপুর এলাকার মানিক মিয়া ও তার স্ত্রী চাম্পা বেগম ঘর পেয়ে খুশি। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মানিক ও চাম্পা তাদের ৫ জনের সংসার। তারা কাগমারা এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। মানিক রিকশা চালক ও তার স্ত্রী অন্যের বাসায় কাজ করতেন। তারা দুজন যা আয় করতেন তা দিয়ে কোনো রকম সংসার চলত তাদের। তারা ঘরে পেয়ে আনন্দিত। এখন আর তাদের বাসা ভাড়া করে থাকতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে তারা সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন। মানিক ও চাম্পা ঘর পেয়ে খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, “মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশে প্রায় আড়াই লাখ ঘরে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বে কোথাও বিনামূল্যে এত ঘর দেওয়ার নজির নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বিনামূল্যে ঘর দেওয়া বিশ্বের কাছে একটি নজির।”