• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

টাঙ্গাইলে পান চাষে সফল জহিরুল


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩, ০১:৪৩ পিএম
টাঙ্গাইলে পান চাষে সফল জহিরুল

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় এই প্রথম পান চাষ করে সফল হয়েছেন চাষি জহিরুল ইসলাম। জহিরুল উপজেলার মাহমুদনগর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের মৃত সরব আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, শুধু নাগরপুর নয়, টাঙ্গাইল জেলার কোথাও এর আগে বাণিজ্যিকভাবে পান চাষ হয়নি। কিন্তু জেলার প্রতিটি উপজেলাতেই পান খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

জহিরুল ইসলাম জানান, জেলার দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি বাজারে একটি টেইলার্সে দর্জির কাজ করতেন তিনি। তবে এতে তার যে আয় হতো তা দিয়ে ভালোভাবে চলতে পারতেন না তিনি। তখন থেকেই তার ভাবনা ছিল নতুন কিছু করার। ভাবনা থেকেই দেড় বছর আগে রাজশাহী থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার পানের চারা নিয়ে আসেন জহিরুল।

পান চাষের জন্য নিজের কয়েক শতাংশ জমি এবং পাশের এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিছু জমি ভাড়া নেন। ২৫ শতাংশ জমিতে চারা লাগিয়ে পাটখড়ি দিয়ে চারদিকে ঘেরা ও ওপরে ছাউনি দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করেন। চারা কেনা থেকে ছাউনি তৈরি ও পরিচর্যা পর্যন্ত তার খরচ হয় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ৯ মাস ধরে পান তোলা শুরু করেছেন তিনি। শুরুতে নিজের এলাকায় বিভিন্ন দোকানে পান বিক্রি করলেও বর্তমানে ঢাকা ও রাজশাহীতেও পাইকারিতে পান বিক্রি করছেন জহিরুল। গত ৯ মাসে যে পান বিক্রি করেছেন, তাতে তার বিনিয়োগের টাকা পাওয়ার পর বেশ ভালো লাভবান হয়েছেন।

জহিরুল ইসলাম বলেন, “আগে চিন্তায় ছিলাম। এখানে পানের উৎপাদন হবে কি না। এখন সে চিন্তা দূর হয়ে গেছে। অন্য এলাকার মতো আমাদের এলাকাতেও পান চাষ সম্ভব। এটা প্রমাণিত হয়েছে। আর্থিক সহায়তা পেলে আরও জমি ভাড়া নিয়ে পান চাষ করতে পারব।”

ভাতশালা গ্রামের কবির হোসেন বলেন, “জহিরুলের পান চাষ দেখে জানতে পেরেছি অন্য অনেক ফসলের চেয়ে পান চাষ অনেক সহজ। এতে খরচ ও শ্রম অনেক কম দিতে হয়। তাই পান চাষের চিন্তা করছি।”

ওই গ্রামের আলী খান বলেন, “পানের চাহিদা সারা বছর থাকে। এখন প্রমাণিত হয়েছে এ অঞ্চলে পান চাষ সম্ভব। তাই নিজের জমিতে পান চাষ শুরুর কথা ভাবছি।”

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, “জহিরুল পান চাষ করে সফল হয়েছেন। পান অর্থকারী ফসল। কৃষি বিভাগ থেকে জহিরুলসহ আরও যারা পান চাষে করবেন তাদের সহযোগিতা করা হবে।”

Link copied!