• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভোলায় প্রথমবারের মতো মুক্তা চাষে সফলতা


ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৩, ০১:৩৩ পিএম
ভোলায় প্রথমবারের মতো মুক্তা চাষে সফলতা

ভোলার দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের দুই ভাই জিহাদ (২৬) ও জাহিদ (২৪)। ইউটিউবে ভিডিও দেখে মুক্তা চাষের উদ্যোগ নেন তারা। বর্তমানে তাদের চাষ করা মুক্তা বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠেছে। তাদের এ সফলতা দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক মুক্তা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। 

জিহাদ ও জাহিদ বলেন, “২০২২ সালে ইউটিউব দেখে মুক্তা চাষে আগ্রহী হই। এরপর ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে নওগাঁ থেকে ঝিনুক ও মুক্তার ডিজাইন এনে বাড়ির পাশের পুকুরে মুক্তা চাষ শুরু করি। প্রথমে এক হাজার ঝিনুক ও মুক্তার ডিজাইন এনে ৩৫টি খাঁচায় ভরে পুকুরে ছেড়ে দেই। এতে সবমিলে ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়া ১৫ দিন পরপর পুকুরে সার ও চুন দিতে হয়।”

তারা আরও বলেন, “এখন মুক্তার বয়স প্রায় ৯ মাস। আগামী ৪ মাসের মধ্যেই বাজারে বিক্রি করতে পারব। প্রতি পিস মুক্তার পাইকারি বাজার দর দুই থেকে আড়াইশ টাকা। বিক্রি উপযোগী মুক্তার বাজার মূল্য আনুমানিক ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা হতে পারে।”

এদিকে দুই ভাইয়ের মুক্তা চাষ দেখতে প্রতিদিনই খামারে স্থানীয় বেকার যুবকরা ভিড় জমাচ্ছেন। তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে অনেকেই মুক্তা চাষ শুরু করেছেন।

একই ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. জামাল জানান, তিনি জিহাদ ও জাহিদের মুক্তা চাষ দেখে আগ্রহী হন। তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে বাড়ির সামনের ৩০ শতাংশ পুকুরে ১৮০০ পিস ঝিনুক নিয়ে মুক্তা চাষ শুরু করেন।

মেদুয়া গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল বলেন, “জিহাদ ও জাহিদ যখন মুক্তা চাষ শুরু করেন, তখন অনেকে হাসি-ঠাট্টা করেছেন। কারণ তাদের ধারণা ছিল, গ্রামের পুকুরে মুক্তা চাষ সম্ভব নয়। কিন্তু এখন তাদের মুক্তা চাষের সফলতা দেখে গ্রামবাসী অবাক হয়েছেন।”

এ বিষয় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুর রাহমান বলেন, “জিহাদ ও জাহিদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা করা হবে।” 

Link copied!