• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সীমান্তীরক্ষীদের ফিরিয়ে নিতে আসছে জাহাজ


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সীমান্তীরক্ষীদের ফিরিয়ে নিতে আসছে জাহাজ

মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাত থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ (বিজিপি) বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ জন সদস্যকে দেশে ফেরাতে মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ বাংলাদেশে আসবে।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

কূটনৈতিক একটি সূত্র জানায়, ৩৩০ সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষীকে ফিরিয়ে নিতে নেপিদো থেকে কক্সবাজারে, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ আসবে। জাহাজ নোঙ্গর করার পর যত দ্রুত সম্ভব সকল প্রক্রিয়া শেষ করে মিয়ানমারের পালিয়ে আসা নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে জাহাজটি ফিরে যাবে।

মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছেন। গত দুদিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তাদের পালিয়ে আসা সীমান্ত রক্ষীদের ফেরত নেওয়ার বার্তা জানান।

এরই মধ্যে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর একটি জাহাজ তাদের সীমান্ত রক্ষীদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে যাত্রা শুরু করেছে। জাহাজটি এখন সমুদ্র পথে আছে, বাংলাদেশের কক্সবাজারে শনিবার নোঙ্গর করবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় যাতে নোঙ্গর করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশের অনুমতি চেয়ে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে মিয়ানমার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী এখন মিয়ানমারের নৌ-জাহাজটিকে নোঙ্গর করার অনুমতি এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে।

প্রসঙ্গত, রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াই চরম আকার ধারণ করেছে। গত রোববার থেকে বৃহস্পতিবার (৪-৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, বিজিপিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও তাদের পরিবারের সদস্য মিলিয়ে দেশটির অন্তত ৩৩০ জন নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

মিয়ানমার শুরুতে তাদের নাফ নদী হয়ে রাখাইনের মংডুতে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু রাখাইনের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশ তাদের উড়োজাহাজে ফিরিয়ে নেওয়ার বিকল্প প্রস্তাব দেয়। মিয়ানমার উড়োজাহাজের পরিবর্তে পরে নিজেদের নাগরিকদের সমুদ্রপথে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিলে দুই দেশ তাতে সম্মত হয়।

Link copied!