• ঢাকা
  • রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৭ জ্বিলকদ ১৪৪৬

কোরবানির হাট কাঁপাবে ২০ মণের ‘কালাচাঁন’


নেত্রকোণা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম
কোরবানির হাট কাঁপাবে ২০ মণের ‘কালাচাঁন’

দেহের পুরোটাই কালো রঙে আচ্ছন্ন আর মাথায় সাদা মুকুট। দেখতে নাদুস-নুদুস হলেও চোখের চাওনিতে যেন আগুন ঝরে। শখ করে ষাঁড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কালাচাঁন’।

পরম যত্নে ষাঁড়টিকে পালন করছেন নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউর ইউনিয়নের আম্বিয়া খাতুন ও রেজাউল দম্পতি।

রেজাউল দম্পতি কালাচাঁনকে লালন-পালন করলেও তার আসল মালিক ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন। চার বছর আগে শখের বসে ৭৫ হাজার টাকায় ষাঁড় গরুটি কিনেন স্থানীয় বাজার থেকে। ষাঁড়টি কিনে লালন-পালন করতে দেন তার প্রতিবেশী ভাতিজা রেজাউলকে। পরে রেজাউল ও তার স্ত্রী যত্ন সহকারে গরুটিকে বড় করেছেন।

সরজমিনে রেজাউলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একটি ঘরে বেশ কয়েকটি গাভী ও একটি ফ্রিজিয়ান জাতের বড় ষাঁড় দাঁড়িয়ে আছে। সেই ঘর পরিষ্কার করছেন আম্বিয়া খাতুন। একটু পরেই বৃষ্টি শুরু হলে সুঠামদেহী গরুটিকে বাহিরে নিয়ে যান তিনি। পরে বৃষ্টির পানিতেই গোসল করায় গরুটিকে।

রেজাউল বলেন, “আমি কালাচাঁনকে নিয়মিত যত্ন করি। আমার পাশাপাশি পরিবারের সবাই এর প্রতি খেয়াল রাখে। তাকে নিয়মিত গম, ভুষি, খৈল, মাসকলাই ডালসহ ১৫ কেজি পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়াই।”

কালাচাঁনের মালিক কামাল উদ্দিন বলেন, “আমি আগে থেকে কৃষি কাজ করতাম। সঙ্গে গরু পালন করার একটা শখ ছিল। ১৯৯৭ সালে প্রথম ইউপি সদস্য হই। তারপরও আমি গরু পালন করি। এ কালাচাঁন আমার খুব পছন্দের একটি গরু। গত কোরবানির ঈদে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে গরুটি নিয়েছিলাম। আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় সিদ্ধান্ত নেই আগামী ঈদে বিক্রি করব। বাড়িতে অনেক পাইকার এসেছিল আমি বিক্রি করিনি। আমি কালাচাঁনের দাম চাচ্ছি ৮ লাখ টাকা।”
 

Link copied!