রামেক হাসপাতালের অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে তারা ৯ দফা দাবিও জানিয়েছেন। সকাল ১১টার দিক থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করের। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের ওই অংশ দিয়ে যান চলাচল।
৯ দফা দাবি হলো
১ . শাহরিয়ারের মৃতদেহের পাশে অবস্থানকালে তার সহপাঠীদের ওপর নৃশংস হামলা হত্যাচেষ্টা এবং শিক্ষক লাঞ্ছনায় জড়িত ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় এবং আনসারদের অতি দ্রুত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া এবং তাদের প্রত্যেককেই তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে হবে।
২. রামেকের পরিচালক শামীম ইয়াজদানীর অসংলগ্ন আচরণ ও প্রত্যক্ষ মদদে বর্বরোচিত হামলার ঘটনাটি ঘটে। কুখ্যাত এই পরিচালকের অপসারণ করতে হবে।
৩. রামেকের অব্যবস্থাপনা ও জরুরি মুহূর্তে ফরমালিটিজের নামে সাধারণ মানুষের হয়রানি, চাঁদাবাজি এবং ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে যোগসাজশ বন্ধ করতে হবে।
৪. রামেকে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। ডাক্তারদের দোষ ওয়ার্ডবয়দের ওপর, ওয়ার্ডবয়দের দোষ ডাক্তারদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি আর চলবে না।
৫. এমপি বাদশার বেসামাল, অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। অসংলগ্ন কথাবার্তার জন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৬. ইন্টার্ন চিকিৎসকদের স্বেচ্ছাচারিতা, রোগী এবং রোগীর অভিভাবকদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, অভিযোগ জানাতে গেলে অভিভাবকদের ওপর অস্ত্রোপচার সামগ্রী দিয়ে আক্রমণের অভ্যাস পরিহার করতে হবে। সর্বোপরি মানবিক ও আন্তরিক হতে হবে।
৭. জরুরি বিভাগে সিনিয়র ডাক্তারদের উপস্থিতিতে জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ডাক্তারদের দায়িত্ব চলাকালীন নার্স/ওয়ার্ডবয় দিয়ে প্রক্সি দেওয়ানো চলবে না।
৮. আইসিউ ব্যবস্থা সহজ করতে হবে। ভিসি এবং প্রক্টর স্যারের সিগনেচারের নামে টালবাহানা করে যে কালক্ষেপণ করা হলো, তা দ্বিতীয় কারও সঙ্গে করা হবে না, এই নিশ্চয়তা দিতে হবে। ঘটনা তুলে ধরতে হবে।
৯. অনতিবিলম্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির কাছে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করে সবাইকে প্রকৃত সত্য ঘটনা জানার সুযোগ করে দিতে হবে।