লালমনিরহাটে সীমান্ত দিয়ে ৫৭ ভারতীয় নাগরিককে পুশইনের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। কিন্তু বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধে ব্যর্থ হয় তারা। এরপর এসব ভারতীয় নাগরিক ভোররাত থেকে শুন্যরেখায় অবস্থান নেন।
এ ঘটনায় বুধবার (২৮ মে) দুপুরের পর বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিজিবির কড়া প্রতিবাদের মুখে ওইসব নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় বিএসএফ।
এর আগে, বুধবার ভোররাতে লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে পুশইনের চেষ্টার এ ঘটনা ঘটে।
সীমান্তবাসী ও বিজিবি জানায়, ভোররাত থেকে জেলার ৫টি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে আসাম রাজ্যের কিছু মুসলিম নাগরিকদের পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। ব্যর্থ হয়ে তাদের সীমান্তের শুন্য রেখায় ফেলে চলে যায়। এ অবস্থায় পুশইন রোধে সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নেয় বিজিবি। এ সময় বিজিবিকে সাহস দিতে লাঠিসোঁটা হাতে তাদের পাশে দাঁড়ান এলাকাবাসী। এতে ভোররাত থেকে চেষ্টা করেও ওইসব ভারতীয় আসাম রাজের মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি।
তবে শুন্যরেখায় অবস্থান নেওয়াদের বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শুন্যরেখায় অবস্থান নেওয়া ভারতীয় নাগরিকরা জানিয়েছেন, তারা সবাই আসাম রাজ্যের নাগরিক। সেখানে তাদের জায়গা-জমি বাড়ি-গাড়ি সবই রয়েছে। তাদের পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়ে শুন্যরেখায় ফেলে গেছে বিএসএফ।
বিজিবি রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সাব্বির আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কাঁটাতারের বেড়ার গেট খুলে এপারে পাঠানো লোকজন ভারতের আসামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় বিএসএফকে পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের ফেরত নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বিএসএফ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। পুশইন রোধে সতর্ক রয়েছে বিজিবি বলেও জানান তিনি।
লালমনিরহাট অধিনায়ক লে. কর্নেল, ব্যাটালিয়ন ১৫ বিজিবি মেহেদী ইমাম বলেন, গভীর রাতে সীমান্ত দিয়ে কোনো মানুষ ঠেলে দেওয়া উচিত নয়। যদি কেউ বাংলাদেশি হয়ে থাকে তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করা হবে। কোনো ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে ঠাঁই দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আসে না। এসব বিষয়ে করা প্রতিবাদ ও হুঁশিয়ারি জানানো হয়েছে।