দেশের উত্তরের কৃষিপ্রধান জেলা ঠাকুরগাঁও। এখানকার অধিকাংশ মানুষই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তবে অবৈধ ইটভাটা গড়ে ওঠায় কমছে আবাদি জমি। সংকুচিত হচ্ছে কৃষি। জেলার ১১৯টি ইটভাটার মধ্যে বৈধ মাত্র ৫টি।
সরেজমিনে জেলা সদর ও উপজেলাগুলো ঘুরে দেখা যায়, এসব ইটভাটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনবসতিপূর্ণ এলাকা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। গেল বছরের নভেম্বরে দেশের সব জেলার অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার ৭ দিনের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশনা জারি করেন হাইকোর্ট। তবে এ নির্দেশনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যর্থ কর্তৃপক্ষ।
রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ জেলায় মোট ১১৯টি ইটভাটা রয়েছে৷ যার মধ্যে বৈধ ভাটার সংখ্যা মাত্র ৫টি। অর্থাৎ, ১১৪টি ইটভাটা নিয়ম না মেনে (ছাড়পত্র বিহীন) অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, “অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর আগে পঞ্চগড়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আমাদের জেলা দেখভাল করায় অনেকটা সহজ ছিল। এখন বিভাগীয় অফিস দেখছে। যাতে করে অবৈধ ইটভাটা কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সে বিষয়ে জেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে।”
আপনার মতামত লিখুন :