• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০৫ মুহররম ১৪৪৬

৩ দিন আটকে রেখে নার্সকে ধর্ষণ করেন হাসপাতাল মালিক


মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৫, ০৩:৩১ পিএম
৩ দিন আটকে রেখে নার্সকে ধর্ষণ করেন হাসপাতাল মালিক

মাদারীপুরের শিবচরে এক নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল মালিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আপেল মাহমুদকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে শিবচর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আপেল মাহমুদ শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনেরচর এলাকার বাসিন্দা। শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক তিনি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্সকে বিভিন্ন সময় হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদ কুপ্রস্তাব দিতেন। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর ওই নার্স হাসপাতালে কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তার গতিরোধ করে আপেল মাহমুদ একটি মাইক্রোবাসে তুলে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যান। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে তাকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।

পরে ২৫ ডিসেম্বর তাকে শিবচর এনে একটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে ভুয়া বিয়ের নথি তৈরি করে ওই নার্সকে ছেড়ে দেন আপেল মাহমুদ। এ ঘটনার পর গত ৩০ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী নার্সের পরিবার শিবচর থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় মাদারীপুর আদালতের দ্বারস্থ হয় ভুক্তভোগী পরিবার।

পরে আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি শিবচর থানায় আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়। এ ঘটনার পর আপেল মাহমুদ পলাতক ছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবচর থানার পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্লিনিক মালিক আপেল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগী নার্স দীর্ঘদিন ধরে ইউনাইটেড হাসপাতালে কাজ করে আসছেন। এ সময়ে জোরপূর্বক ওই নার্সকে ধর্ষণ করে আপেল। বিষয়টি জানালে ভুক্তভোগীর পরিবার আপেলের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে। আপেলের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণ ও চাঁদাবাজিরও মামলা রয়েছে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, “ধর্ষণ মামলার আসামি আপেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও শিশু ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।”

Link copied!