• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সম্পত্তির ফায়সালায় সাত বছর পর কবর থেকে তোলা হল লাশ


মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৪, ১০:০৯ এএম
সম্পত্তির ফায়সালায় সাত বছর পর কবর থেকে তোলা হল লাশ
লাশ তোলা হয়। ছবি: সংগৃহীত

মেহেরপুরের গাংনীতে মৃত ব্যক্তির নামে থাকা সম্পত্তির মালিকানা নির্ধারণ করতে ডিএনএ সংগ্রহের জন্য আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ তোলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে পৌর শহরের পূর্ব মালশাদহ গ্রামের কবরস্থান থেকে আল কবির (২৫) নামের ওই যুবকের লাশ তোলা হয়।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, খোকন ও আব্দুল লতিফ দূরসম্পর্কের ফুপাতো ভাই। আব্দুল লতিফ ও হাজেরা খাতুন নিঃসন্তান দম্পতি হওয়ায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তাদের কাছে আল কবিরকে দেওয়া হয়। আল কবিরের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার নামে কিছু জমি লিখে দেন আব্দুল লতিফ। ২০১৬ সালের নভেম্বরে বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যু হয় আল কবিরের। আল কবির মারা যাওয়ার এক বছর পর আব্দুল লতিফেরও মৃত্যু হয়।

আল কবিরকে আব্দুল লতিফের ঔরসজাত সন্তান দাবি করে আব্দুল লতিফের ভাই ও ভাইয়ের ছেলেরা আল কবিরের নামে থাকা জমি নিজেদের বলে দাবি করেন। এদিকে আল কবিবের জন্মদাতা বাবা দাবি করা মিজানুর রহমান খোকনও তার ছেলের জমির অংশীদার বলে দাবি করেন। এ নিয়ে দেখা দেয় দ্বন্দ্ব।

২০১৮ সালে মেহেরপুর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা করেন মিজানুর রহমান খোকন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গাংনী থানার এসআই জহির রায়হান মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামীম বলেন, “জমি সংক্রান্ত মামলা জটিলতার কারণে মেহেরপুর জেলা যুগ্ম জজ আদালতের নির্দেশে আল কবিরের প্রকৃত বাবা কে?—সেটি শনাক্তের জন্য লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।”

লাশ উত্তোলনের সময় গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামীম, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও আব্দুল্লাহ আল মারুফসহ গাংনী থানা–পুলিশের টিম উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!