• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ধানক্ষেতে মিলল চোখ উপড়ানো নারীর লাশ


রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২১, ০৫:৫৫ পিএম
ধানক্ষেতে মিলল চোখ উপড়ানো নারীর লাশ

নরসিংদীর রায়পুরায় ধানক্ষেত থেকে রুনা বেগম (২৫) নামে এক নারীর ডান চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের চর মরজাল উত্তরপাড়ার কৃষক ইব্রাহীম মিয়ার ধানক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই নারী একই এলাকার মোসলেম উদ্দিন ভূঁইয়ার মেয়ে এবং সৌদিপ্রবাসী আবুল কালামের স্ত্রী।

এদিকে খবর পেয়ে রায়পুরা সার্কেলের এএসপি ও রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।

নিহতের বোন শান্তি বেগম জানান, গত রাত ৮টায় খাবার খেয়ে চর মরজাল উত্তরপাড়া গ্রামে মামার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বের হন রুনা। ওই রাতে আর বাড়ি ফিরেননি তিনি। সকালে স্থানীয় কৃষক ইব্রাহীম খবর দেন তার জমিতে এক নারী লাশ পড়ে আছে। পরে স্বজনরা গিয়ে লাশটি রুনার বলে শনাক্ত করে। ওই সময় রুনার পরনে লাল রঙের থ্রি-পিস এবং ডান চোখটি উপড়ানো।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বার বছর আগে একই গ্রাম চর মরজাল উত্তরপাড়ার রুনা বেগম ও আবুল কালাম প্রেম করে বিয়ে করেন। পরে বিষয়টি উভয় পরিবার মেনেও নেয়। বারো বছরের সংসারে তাদের এক প্রতিবন্ধী ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম হয়। গত চার বছর আগে শ্বশুরবাড়ি টাকায় সৌদিতে পাড়ি জমান কালাম। প্রবাসে যাওয়ার ছয় মাসের মাথায় ডিভোর্সের জন্য স্ত্রীকে চাপ দেন কালাম। তাতে রাজি না হয়ে তিন সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন রুনা। এরপর থেকে বাবার বাড়িতেই থাকছিলেন তিনি।

এদিকে বাবার বাড়ির ধার শোধ করতে প্রবাসী স্বামীকে ফোন দেন রুনা। কিন্তু কালাম জানান, তাকে ডিভোর্স দিলেই মিলবে টাকা। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে নিয়ে একটি সালিশি বৈঠকও হয়। এরই জের ধরে প্রবাসী স্বামী রুনাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে জানান তার বোন শান্তি।

রুনার শাশুড়ি চেহারা বেগম বলে, ছেলে বিদেশ যাওয়ার ছয় মাস পর তিন সন্তান নিয়ে ছেলের বউ তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর তাদের মধ্যে কী ঘটেছে কিছুই জানে না তিনি।

রায়পুরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ্র সরকার জানান, নিহত নারীর লাশ সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড।

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো লিখিত অভিযোন পাননি বলে জানান তিনি।

Link copied!