নাটোরের বড়াইগ্রামে জামাইয়ের সন্ধান পেতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন আনোয়ারা বেগম নামের এক নারী।
শুক্রবার (১৬ মে) ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বড়াইগ্রামে উপজেলার জোনাইল বাজারে। অভিযুক্তের নাম সিয়াম হোসেন (২৪)। তিনি পাবনার চাটমোহর উপজেলার দোলন গ্রামের কিরন আলীর ছেলে। আনোয়ারা জোনাইল বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী।
জানা গেছে, আনোয়ারা বেগমের মেয়ে ও এক বছরের নাতনিকে রেখে লাপাত্তা হয়েছে জামাই সিয়াম। আত্মগোপনে যাওয়ার সময় জুয়েলারি দোকান থেকে তাদের নামে ৬০ ভরি রুপা ও স্থানীয় এক মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গেছেন। এদিকে ছেলেকে গুম করার অভিযোগে থানায় গেছে জামাই সিয়ামের মা। আবার হারানো রুপা ফিরিয়ে দিতে চাপ দিচ্ছেন জুয়েলার্সের মালিক।
আনোয়ারা বেগম বলেন, চার বছর আগে আমার মেয়ে আলো খাতুনের (২২) সঙ্গে দোলন গ্রামের কিরণ আলীর ছেলে সিয়াম হোসেনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সিনথিয়া খাতুন (১) নামের কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মেয়ে ও জামাই আমার বাড়িতে থেকে জোনাইল বাজারের আহসানের জুয়েলারি দোকানে কাজ করত। গত রমজান মাসে সে জুয়েলারির দোকান থেকে ৬০ ভরি রুপা নিয়ে পালিয়েছে। এ সময় স্থানীয় একটি মেয়েকেও সঙ্গে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। একদিকে এই জ্বালা অন্যদিকে সিয়ামের মা তার ছেলেকে গুম করা হয়েছে মর্মে আমিসহ জুয়েলারি দোকান মালিক আহসানের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন। অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে জামাইয়ের সন্ধান পেতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।
এদিকে সিয়ামের মা রওশনা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, তার ছেলে সিয়ামকে গুম করে এখন নাটক করছেন বিয়াইন (আনোয়ারা)। তিনিও দ্রুত তার ছেলের সন্ধান চান।
বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, আমি নতুন আসছি এই থানায়। বিষয়গুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছি।