• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

‘অনৈতিক কাজে’ রাজি না হওয়ায় যুবককে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের নির্যাতন


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম
‘অনৈতিক কাজে’ রাজি না হওয়ায় যুবককে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের নির্যাতন
ঝিনাইদহ জেলার মানচিত্র

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় আশিকুর রহমান (২১) নামের এক যুবককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই যুবক।নির্ব

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামের মৃত ইকবাল হোসনের ছেলে আশিকুর রহমান। হরমোনের কারণে তিনি কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করে থাকেন। গান-বাজনাকে তিনি পেশা হিসেবে নিয়েছেন। গান-বাজনার সূত্রেই কোটচাঁদপুর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুনের সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর থেকেই ভাইস চেয়ারম্যান আশিকুরসহ বেশ কয়েকজনকে দিয়ে বিভিন্ন সময় ‘অনৈতিক কাজ’ করাতেন বলে দাবি আশিকুরের।

আশিকুর বলেন, তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে কোটচাঁদপুর বলুহর বাসস্ট্যান্ডে একটি দোকানের পেছনে নিয়ে যান পিংকি। এরপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিক নির্যাতন করেন। ওই সময় তার হাতে থাকা ইলেকট্রিক স্টিক দিয়ে বৈদ্যুতিক শক দেন মুখে ও শরীরে। পরে খুনের হুমকি দিয়ে চলে যান।

যুবক আশিকুর বলেন, “আমি হিজড়া না। হরমোনের কারণে একটু অস্বাভাবিক। এ কারণে বিভিন্ন যাত্রা ও মঞ্চে নাচ-গান করে জীবনযাপন করি। এতে যে টাকাপয়সা পাই, চেয়ারম্যান পিংকি সেটাও আমার কাছ থেকে জোর করে ছিনিয়ে নেন। এর আগে আমাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে চুল কেটে দিয়েছেন। আমার বন্ধুদেরও নির্যাতন করেছেন।”

আশিকুর রহমান আরও বলেন, “থানায় অভিযোগ করার পর থেকে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি আমাকে হুমকিধমকি দিচ্ছেন। এমনকি ইয়াবা, ফেনসিডিল দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ারও হুমকিও দিচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান।”

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন বলেন, “আশিকুর রহমান আমাকে মা বলে ডাকে। আমি তাকে ছেলে বলে জানি। দীর্ঘদিন ধরে আমি তাকে পালন করে আসছি। সে যেসব অভিযোগ করেছে, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট। আমি শাসন করতে গিয়ে একটা থাপ্পড় মেরেছি মাত্র। সে এখন রাগে পড়ে হয়ত এসব করছে।”

পিংকি খাতুন আরও বলেন, “সামনে আমি নির্বাচন করব। এ কারণে অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন তাকে দিয়ে এসব করিয়ে।”

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আল মাসুদ মিয়া বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর আমি গিয়েছিলাম তদন্ত করতে। এটা একটা সাধারণ ব্যাপার। তারপরও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাতে পারব।”

Link copied!