• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

২০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৩, ০৩:১২ পিএম
২০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি দিদারুল আলমকে ২০ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বুধবার (১৭ মে) সকালে নগরের চান্দগাঁও র‌্যাব-৭-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরীর ফিরিঙ্গী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দিদারুল আলম (৪৫) হাটহাজারী থানার ফটিকালতি এলাকার মৃত সৈয়দ আহাম্মদের ছেলে।  

র‌্যাব জানায়, ২০০৩ সালের ২৫ নভেম্বর হাটহাজারী থেকে মোহাম্মদপুরগামী রাস্তায় অবস্থান নিয়ে সাধারণ লোকজনকে আটক করে তাদের হাত-পা বেঁধে নির্যাতন ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লুটপাটের সময় জাহাঙ্গীর আলম রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন।

ডাকাত দল জাহাঙ্গীরকে আটক করে তার সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাদের চিনে ফেলেন এবং চিৎকার শুরু করেন। ডাকাত দলের সদস্যরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে জাহাঙ্গীর আলমকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।

জাহাঙ্গীর আলমের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় এবং মো. ফজল ড্রাইভারসহ আর ৭ থেকে ৮ জনকে হাত-পা বাঁধা ও আহত অবস্থায় দেখতে পায়। পরবর্তী সময়ে জাহাঙ্গীর আলমকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমের প্রতিবেশী মো. ফজল আহাম্মদ ড্রাইভার ডাকাতির ঘটনায় বাদী হয়ে গত ২০০৩ সালের ২৯ নভেম্বর হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা করেন।

হাটহাজারী র‌্যাব-৭ ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জুনায়েদ বলেন, মামলা হওয়ার পর ওই দিন রাতেই দিদারুল আলমকে হাটহাজারী থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে। কিছুদিন জেলহাজতে থাকার পর আসামি দিদারুল আলম জামিনে মুক্তি পেয়ে বের হয়। পরবর্তী সময়ে আসামি দিদারুল আলম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২০২২ সালের ৩০ মে আদালত আসামি দিদারুল আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অন্য একটি ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। 

Link copied!