মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলায় ছেলের জন্মদিনে মা–বাবাকে দাওয়াত না করায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নাদিম দেওয়ান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
রোববার (৮ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বাঘাইকান্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম রুমানা বেগম (২১)। তিনি বাঘাইকান্দি এলাকার প্রবাসী রুহুল আমিনের মেয়ে।
নিহত নারীর স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার নাদিম-রুমানা দম্পতির ছেলে রাফসানের জন্মদিন ছিল। রুমানা তার ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ছিলেন। জন্মদিন উপলক্ষে সন্ধ্যায় রুমানার বাবার বাড়িতে মিলাদের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় জন্মদিনের মিলাদ হয়। পরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। নাদিম সন্ধ্যায় রোমানাদের বাড়িতে যান। ছেলের জন্মদিনে নাদিমের মা–বাবাকে কেন দাওয়াত করা হয়নি, এ নিয়ে ঝগড়া শুরু করেন নাদিম। একপর্যায়ে ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে আসেন তিনি। রাত ৯টার দিকে রুমানা ছেলেকে আনার জন্য তার মামাকে নাদিমদের বাড়িতে পাঠান। নাদিম ছেলে দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছেলে রাফসানকে আনতে নাদিমদের বাড়িতে যান রুমানা। সেখানে আবার দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রোমানাকে ছুরিকাঘাত করেন নাদিম। গুরুতর আহত অবস্থায় রোমানাকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত রুমানার ছোট ভাই রনি ব্যাপারী বলেন, “আমরা দুই ভাই–বোন ছিলাম। রুমানা বড় ছিল। রুমানার সংসারে আমার বাবা টাকা–পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করতেন। গতকাল শুধু নাদিমের মা–বাবাকে কেন দাওয়াত দেওয়া হলো না, এই ঘটনার জের ধরে আমার বোনটাকে মেরে ফেলল। আমি আমার বোনের হত্যাকারীর বিচার চাই।”
মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খাইরুল হাসান বলেন, ঘটনার পর থেকে নাদিম পলাতক। এ ঘটনায় অভিযুক্তের মা ও বোনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
