কম পরিশ্রম ও কম খরচের জন্য স্বল্প পুঁজিতে ভুট্টা চাষে ফলন ঘরে তোলা সম্ভব বলে জানান যশোরের শার্শা উপজেলার চাষিরা। কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভুট্টার তিন গুণ আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
শার্শা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মণ্ডল বলেন, অনুকূল আবহাওয়া, কম খরচে অধিক ফলন, অন্য ফসলের চেয়ে পরিচর্যা খরচ ও রোগবালাই কম হওয়ায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
প্রতাপ মণ্ডল জানান, ভুট্টা চাষে কৃষকদের সহায়তা অব্যাহত থাকায় আগের চেয়ে উৎপাদনও বেড়েছে। গত বছর উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা নিয়ে মাত্র ৯০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছিল। এ বছর চাষ হয়েছে ২৪০ হেক্টর জমিতে। এবার চমক জাতের ভুট্টা বেশি চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় শার্শা সদর ইউনিয়নে ভুট্টার আবাদ বেশি।
উপজেলার নিজামপুর এলাকার ভুট্টাচাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, “দুই বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। প্রতিটি গাছে ফলন ভালো হয়েছে। এ বছর ফলন ভালো পেলে আগামীতে পাঁচ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করার ইচ্ছে আছে।”
উপজেলার বাসাবাড়ি এলাকার ভুট্টাচাষি কবির বলেন, “দুই একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা। ফলনও অনেক ভালো হয়েছে।”
ডিহি ইউনিয়নের শাড়াতলা গ্রামের কৃষক দিন ইসলাম বলেন, “আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাত সম্প্রসারণ, সুষম সার ব্যবস্থাপনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দেড় বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল চমক জাতের ভুট্টা চাষ করেছি। উপজেলা থেকে সার্বিক সহযোগিতায় গত বছরের থেকে চলতি বছরে ব্যাপক লাভের আশা দেখছি।”
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অসিত কুমার মণ্ডল বলেন, গত বছরের তুলনায় উপজেলার অন্যান্য এলাকার মতো নিজামপুর ইউনিয়নে ব্যাপক হারে ভুট্টার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ১২ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হলেও এবার তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। কম পরিচর্যায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষকও লাভবান হয়ে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে।
আপনার মতামত লিখুন :