• ঢাকা
  • রবিবার, ০১ জুন, ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৪ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৫, ০৮:১১ পিএম
নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বরগুনার বিভিন্ন নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে নদীসংলগ্ন বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের বসতঘরে পানি ঢুকে পড়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৩০ মে) বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ও নলটোনা ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডালভাঙা এলাকার একটি রিং বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা আরও বাড়লে এসব এলাকার ঘরবাড়ি আবারও তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে মূল বেড়িবাঁধের ভেতরের অংশে বসবাসকারীরা নিরাপদে রয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বাঁধ ভেঙে ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এখন আবারও জোয়ারের পানি ঢুকতে শুরু করেছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে থাকার মতো আমাদের কোনো সামর্থ্য নেই।”

নলটোনা ইউনিয়নের আজগরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা শাহনেওয়াজ সেলিম বলেন, “পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। আমাদের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরে থাকার উপযোগী পরিবেশ নেই। এখন রান্না করেও খেতে পারছি না। অধিকাংশ মানুষই দিনমজুর—দিন আনি দিন খাই, অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।”

শাহনেওয়াজ সেলিম আরও বলেন, “ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। আজ জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় আবারও পানি ঢুকছে। বর্তমানে খাটের ওপর চুলা রেখে রান্না করতে হচ্ছে। আমরা চাই, নদীসংলগ্ন যেসব বাঁধ আছে, সেগুলো যেন মজবুতভাবে নির্মাণ করা হয়।”

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, “যে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে, তা মূল বেড়িবাঁধ নয়। নদীসংলগ্ন একটি রিং বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেসব পরিবার পানি প্রবেশের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা মূল বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।”

Link copied!