• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শীতে কাবু কুড়িগ্রাম, দেখা নেই সূর্যের


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ১১:১০ এএম
শীতে কাবু কুড়িগ্রাম, দেখা নেই সূর্যের

হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় কুড়িগ্রামে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। আকাশে ঘন মেঘে সূর্য ঢেকে থাকায় দিনের বেশির ভাগ সময় প্রাকৃতিক উষ্ণতাও পাচ্ছে না মানুষজন। জেলায় টানা আট দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রাজারহাটে রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে ঘন কুয়াশার মাত্রা ক্রমান্বয়ে আরও বেড়ে যাওয়ায় ও বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় ঠান্ডার মাত্রা দ্বিগুণ বেড়েছে। শীতের পোশাকের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন সব বয়সী মানুষ। প্রতিনিয়ত শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।

বেলা গড়ালেও দেখা মিলছে না সূর্যের। দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলাতেই হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলার চিলমারী নৌবন্দর ও সদরের মোগলগাছা নৌ ঘাট থেকে ৪-৫ ঘণ্টা বিলম্বে নৌযানগুলো চলাচল করছে। পাশাপাশি সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়েই চলছে যানবাহন। কুড়িগ্রামের আন্তনগর ও লোকাল ট্রেনগুলো কুয়াশার কারণে ২-৩ ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ছে।

পৌরসভার বাসিন্দা ঝর্না বেওয়া বলেন, “এই ঠান্ডায় অন্যের বাসায় কাজ করতে যাচ্ছি। খুবই সমস্যা হচ্ছে। দুই দিন ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছি। শীতকালে ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় সংসার চালানোয় মুশকিল হয়েছে। অভাবের সংসার ছেলেদের গরমের কাপড় কিনব, তা-ও পারছি না।”

সদরের পুরাতন থানা পাড়ার শিক্ষার্থী রেশমা খাতুন বলেন, “আজ প্রচুর কুয়াশা ও ঠান্ডা পড়েছে। এই ঠান্ডায় সকাল ৭টার দিকে কোচিংয়ে যাচ্ছি। খুব কষ্ট হচ্ছে।”

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, “জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শীতের কষ্ট লাঘবে জরুরি ভিত্তিতে শীতবস্ত্র কেনার জন্য ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বরাদ্দ দেওয়া এ অর্থ জেলার ৯ উপজেলায় উপবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”

Link copied!