• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ক্ষমা চেয়েও নারীদের তোপের মুখে সেই চেয়ারম্যান


মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
ক্ষমা চেয়েও নারীদের তোপের মুখে সেই চেয়ারম্যান

‘নারী নেতৃত্ব হারাম’ বলে বিতর্কিত হওয়া সেই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদারের বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নারীদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধনকে শহরের স্মরণকালের বড় মানববন্ধন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ‘মোংলা উপজেলা নারী সমাজ’ এ মানববন্ধন আয়োজন করে।

নারী বক্তারা বলেন, “একরাম চেয়ারম্যান তোমার ক্ষমা নেই। তুমি যার গর্বে হয়েছ, তিনিও একজন নারী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নারী। স্পিকার নারী । ‘নারী নেতৃত্ব হারাম’ বলে তুমি সকল নারীকে অপমান করেছ। তোমাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তুমি জামায়াতকে খুশি করতে এসব কথা বলেছ।”

এ সময় তারা একরাম ইজারাদারকে অযোগ্য চেয়ারম্যান আখ্যা দিয়ে সরকারের কাছে তার অপসারণ, দৃষ্টন্তমূলক শাস্তি ও গ্রেপ্তারের দাবি জানান। 

পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার হাইয়ের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জাহানারা হোসেন চাঁনু, সোনাইলতলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজরিনা বেগম নারজিনা, শিউলি আকন, জোহরা বেগম, মহিলা আ. লীগ নেত্রী রাহিলা খানম বেবীসহ নারী নেত্রীরা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট ৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইদ্রিস আলী ইজারাদারের পক্ষে এক নির্বাচনী সভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুন নাহারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে একরাম বলেন, “আমরা গজবের ভেতর নিমজ্জিত আছি। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। জনমনে কোনো স্বস্তি নেই, শান্তি নেই; তার কারণ, নারী নেতৃত্ব হারাম। নারী নেতৃত্বের অধীনে আমরা এখানে রয়েছি। আমাদের ভোটটা আমরা বেগম হাবিবুন নাহারকে (আওয়ামী লীগের প্রার্থী) দুইবার (ভোট) দিয়ে আমরা নারী নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করছি। তাই আমাদের এখানে কোনো সুখ-শান্তি অবস্থান করে না। যেটা সত্য, সেই কথা আমি এখানে আপনাদের কাছে বলে গেলাম। উনি একজন নারী, উনি রাজনীতি আর সমাজনীতির বোঝেন কি? কিছুই বোঝেন না।”

তার ওই বক্তব্যের ৪১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ নির্বাচনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নজরে আসলে বাগেরহাট-৩ এর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তাকে শোকজ করে। পরে একরাম বাগেরহাটের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক ওবায়দা খানমের কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা চেয়ে শোকজের ব্যাখ্যা দেন তিনি।

আদলতে একরাম তার জবানবন্দিতে বলেন ‘৪১ সেকেন্ডের যে বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে তা কাটপিস করা হয়েছে। এটা পুরো বক্তব্য না। মূলত জামায়াত অধ্যুষিত ওই এলাকায় ভোটের প্রচারণা করতে গেলে নারী নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে এ কথাগুলো তিনি বলেছেন, যা পরবর্তী সময়ে কাটপিস করে ভাইরাল করা হয়।

Link copied!