শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির সংখ্যা শয্যার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। এক সপ্তাহে ওজনে কম থাকা নবজাতক এবং শীতজনিত রোগে ১৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রমেক শিশু বিভাগ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়।

রংপুরের ওপর দিয়ে এক সপ্তাহ ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ফলে শীতজনিত রোগে যেমন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দিসহ বিভিন্ন রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

রমেক শিশু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহে ১৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে আরও চার শিশু। যার মধ্যে এক মাস থেকে তিন বছরের শিশুই বেশি। কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর ও নীলফামারী থেকে আসা শিশু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
এ বিষয়ে শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার তানভীর চৌধুরী বলেন, শুধু শীতজনিত রোগে এসব শিশুর মৃত্যু হয়নি। ওজনে কম থাকা নবজাতক ও অপরিপক্ব শিশুদের স্বাভাবিক মৃত্যুও হয়েছে।

এদিকে রমেক শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি শয্যায় একাধিক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। শয্যা না পেয়ে অনেক শিশুকে মেঝেতে বিছানা পেতে রাখা হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, দুটি শিশু ওয়ার্ডে দুই সপ্তাহ ধরে শিশু রোগী ভর্তির সংখ্যা শয্যার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নবজাতকদের শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া দেখা দিয়েছে। তাদের যে পরিমাণ উষ্ণতার প্রয়োজন সে অনুযায়ী উষ্ণতা না পাওয়ায় শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

এ বিষয়ে রমেক শিশু ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান সুজাউদ্দৌলা বলেন, শীতের প্রকোপে শিশুরা নাজেহাল হয়ে পড়ছে। নবজাতকের ক্ষেত্রে অপরিপক্ব ও কম ওজনের শিশু জন্মের সময় মাথায় আঘাত পাওয়ায় শিশুদের মৃত্যু হয়েছে।