• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে শতাধিক, ভ্যাকসিন সংকট


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩, ০৭:২০ পিএম
কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে শতাধিক, ভ্যাকসিন সংকট

পাবনার সাঁথিয়ার কয়েকটি এলাকায় পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতরা হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালে ভ্যাকসিন সংকট দেখা দিয়েছে।

শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, শনিবার সকালে পিপুলিয়া এলাকার একটি কুকুর এসে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ যাকে সামনে পায় তাকেই কামড় দেয়। কুকুরটিকে ধরার চেষ্টা করেও কেউ ধরতে পারেনি। এইভাবে ওই কুকুর বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক মানুষ ও বেশকিছু গরুছাগলকে কামড়িয়ে আহত করে।

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের ভীড়ে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিন দিতে পারছেনা। 

রোগীদের একটা আইজি ভ্যাকসিন হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে। কিছু ভ্যাকসিন বাজার থেকে ক্রয় করে নিতে হচ্ছে। হঠাৎ করে কুকুড়ের কামড়ে অনেক রোগী আহত হওয়ায় ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। বর্তমানে বাজারেও ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য পাবনা জেলা সদর থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সাঁথিয়া হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ মামুন বলেন, “এ রকম ঘটনা সচারচর হয় না। বিষয়টা হঠাৎ করে হওয়ায়  আমাদের একটু বেগ পেতে হয়েছে। উপজেলা পরিষদের অনুদানের টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে আমরা সবাইকে চিকিৎসা দিয়েছি।”

উপজেলা প্রাণীসম্পদ চিকিৎসক ফারুক হোসেন জানান, বেশ কয়েকটি গরু ও ছাগলকে কামড়িয়ে আহত করেছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কুকুর কামড় দিলে দ্রুত ভ্যাকসিন না নিলে স্থায়ী সমস্যা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “ওই এলাকায় কুকুরের কামড়ে অনেকে আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এদের মধ্যে বেশ কিছু শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী রয়েছেন। এলাকায় পাগলা কুকুরের উপদ্রব যাতে কমে যায় এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন জানান, ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য উপজেলা পরিষদের রোগী কল্যাণ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে রোগীদের সেবা দিতে। কেউ যেন সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।  

Link copied!