• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষককে মারধর


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম
নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষককে মারধর
প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিনকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে সভাপতি আব্দুল বাতেন মিয়ার সামনেই এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চোখে প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন তিনি। প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন ওইদিন সন্ধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন বলেন, “কাশিনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব পদে লোক নিয়োগকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে অফিস কক্ষে আলোচনায় বসেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যরা। এ সময় কমিটির সদস্য রাশেদ তার নিজের লোককে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের জন্য পাবনা ডিজির প্রতিনিধির কাছে আমাকে যেতে বলেন। আমি বললাম, সভাপতির সঙ্গে কথা হয়েছে বৃহস্পতিবারে যাব। যেহেতু রেজুলেশন লেখা হয় নাই। ওইটা লিখে রেডি করে তারপর যাব। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে রাশেদ আমার ডান চোখে প্রচন্ড জোরে ঘুষি মারে। এতে আমি অজ্ঞান অবস্থায় চেয়ারের ওপর পড়ে যাই। পরে সহকর্মীরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন।”

প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, “এর আগে আমাকে একটি অনৈতিক প্রস্তাব দেয় সদস্য রাশেদ। তারা প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের লেনদেন করে যা আমাকেও ভাগ নিতে বলেন। এতে আমি অস্বীকার করলে পরে একজনের মাধ্যমে আমাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। আমি তাতেও অস্বীকৃতি জানালে তিনি সভাপতির সামনেই আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। আমি এর প্রতিবাদ করে সভাপতির কাছে উপস্থাপন করতেই আমার চোখের ওপর ঘুষি মারেন।”

তিনি বলেন, “আমি চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সাঁথিয়া থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলে ওসি বলেন, ‘আমি দেখতেছি, আপনি যান।’ আমি এর বিচার চাই। প্রয়োজনে আমি আদালতের শরনাপন্ন হবো।”

অভিযুক্ত রাশেদ হোসেন মারধর করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের জায়গা ট্রাস্টের নাম থেকে বিদ্যালয়ের নামে করার জন্য একটা প্রতিবেদন চায় কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কাউকে না জানিয়ে একতরফাভাবে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, এ জন্য একটু কথাকাটাটি হয়েছে মাত্র।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল বাতেন মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখেন।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে জিডি হিসেবে নথিভূক্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Link copied!