কুড়িগ্রাম সদরের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম সালাউদ্দিন রুবেলের বিরুদ্ধে কলেজ চত্বরের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন অভিভাবকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদুল হাসান।
অভিযোগকারী অভিভাবক সদস্য লিটন আলী বলেন, “রমজান ও ঈদ উপলক্ষে কলেজ ছুটি থাকাকালীন অবস্থায় গত ১২ ও ১৩ এপ্রিল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম সালাউদ্দিন রুবেল প্রতিষ্ঠানের সীমানাপ্রাচীর সংলগ্ন ৬টি গাছ কেটে বিক্রি করেন। এর মধ্যে ১টি কৃষ্ণচূড়া, ১টি রেইনট্রি কড়ই, ১টি আমগাছ ও ৩টি ইউক্যালিপটাস গাছ ছিল।
রোববার (৩০ এপ্রিল) কলেজ চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, কলেজের পূর্ব দিকের সীমানা প্রাচীরসংলগ্ন স্থানে এখনো কেটে নেওয়া গাছগুলোর গোড়া রয়েছে। মানুষের দৃষ্টি এড়াতে সেগুলো বালু দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের সহাকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন,“আমি কোনো টাকা পাইনি। তবে শুনেছি, কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী গাছ বিক্রির টাকা থেকে এক হাজার করে টাকা পেয়েছেন।”
গাছ কেটে বিক্রি করার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, “আমি নতুন দায়িত্ব নেওয়ায় বিষয়টি বুঝতে পারিনি। তদন্ত কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে সেটা জানিয়েছি।”
তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর ইউএনও রাসেদুল হাসান বলেন, “আমি জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তিনি পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।”
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, “ প্রতিবেদন পেয়েছি। প্রতিবেদন দেখে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”