• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আমদানির খবরে এক লাফে অর্ধেকে আলুর দাম


লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আমদানির খবরে এক লাফে অর্ধেকে আলুর দাম

ভারত থেকে আলু আমদানির খবরেই লালমনিরহাটে এক লাফে আলুর দাম কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় নেমে এসেছ। সপ্তাহ দুয়েক আগেও যে আলুর কেজি ছিলো ৫০ টাকা। সেই আলু এখন ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। এরপর তা নেমে আসে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। বর্তমানে বাজারে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানির খবর পেয়ে আলু কেনা কমিয়ে দিয়েছেন আড়তদার ও আলু ব্যবসায়ীরা। তাই দরপতন হয়েছে।

শহরের পাইকারি বাজার গোশালা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি বস্তা আলু পাইকারি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে কিনেছেন বস্তা প্রতি ২ হাজার ২৫০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৯০০-৯৫০ টাকা বস্তা।

এদিকে আলুর অস্বাভাবিক দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের পড়েছে মাথায় হাত। তারা বলছেন, দাম কমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠছে না তাদের। তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

সরেজমিন, তিস্তা ও ধরলা চরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আলু তোলায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা। জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও আলু তোলা শুরু হয়েছে। অনেকের ঘরে মজুদ রয়েছে আগাম জাতের আলু।

সদর উপজেলার তিস্তা খুনিয়াগাছ এলাকার কৃষক হাসান মাহমুদ বলেন, “বর্তমানে বাজারে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ওই আলু কৃষকের কাছ থেকে পাইকাররা কিনছেন ১৭-১৮ টাকা কেজি দরে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ উঠছে না।”

একই এলাকার কৃষক আকবর আলী জানান, তিনি ১০ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আলু চাষ করেছেন। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। আলু পাওয়া যাবে ৮০ মণের মতো। বর্তমানে এক বিঘা জমির আলু বিক্রি করে পাওয়া যাচ্ছে ৪৬ হাজার টাকা। সে হিসেবে প্রতি বিঘায় ৪ হাজার টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে। ধান, চাল ও গমের মতো আলুর দামও সরকার নির্ধারণ করে দিলে কৃষকরা লোকসান থেকে রক্ষা পেতো।

তবে আলুর পাইকারি ক্রেতাদের দাবি, বর্তমানে পুরোদমে আলু ওঠা শুরু হয়েছে, তাই দাম কমছে। এ ছাড়া ভারত থেকে আমদানির খবর পেয়েও আলুর বাজার কমে গেছে।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক সিফাত আরা জান্নাত বলেন, আলুর ব্যাপক দরপতন হয়েছে। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবে কৃষকরা আলু সংরক্ষণ করতে পারলে তারা লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পেতেন।

Link copied!