• ঢাকা
  • সোমবার, ০২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৫ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

‘সবাই জায়েদ খানকে দেখতে আসে, কেউ আশানুরূপ দাম বলে না’


লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
‘সবাই জায়েদ খানকে দেখতে আসে, কেউ আশানুরূপ দাম বলে না’

লালমনিরহাটে কোরবানির হাট কাঁপাতে প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৩৫ মণ ওজনের সাদা কালো বর্ণের একটি ষাঁড়। ষাঁড়টির মালিক আদর করে নাম দিয়েছেন ‘জায়েদ খান’। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে জায়েদ খানকে দেখতে ভিড় করছেন অনেকেই। অনেকে দামাদামিও করেন। তবে আশানুরূপ দাম না বলায় হতাশ খামারি।

জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার বত্রিশ হাজারী এলাকার উদ্যোক্তা মজমুল হক প্রামাণিকের খামারে পালন করা হয়ে ৩৫ মণ ওজনের এই জায়েদ খানকে। ষাঁড়টির উচ্চতা ৭ ফিট। প্রতিদিন খাবারের খরচ এক হাজার থেকে ১২শত টাকা।

ষাঁড়টির লালন-পালনের দায়িত্বে থাকা নুবুর আলী বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে গরুটি মোটাতাজা করছি। এখানে দেশীয় কাঁচা ও শুকনো ঘাস, চাউলের কুড়া, গম, ভুট্টা, খৈল ও আলু খাইয়ে মোটাতাজা করছি। ষাঁড়টি পরিচ্ছন্ন ও শুষ্ক জায়গায় প্রাকৃতিক আবহে বেড়ে উঠেছে। চার বছর ধরে অতি যত্নে লালন-পালন করেছি। আদর নাম দিয়েছি জায়েদ খান। এটা এ বছর আমাদের জেলার সেরা আকর্ষণ।”

আরাফাত ইসলাম নামের এক ক্রেতা জায়েদ খানকে কিনতে এসেছেন, তবে তার সঙ্গে দামে মিলছে না বলে খালি হাতেই বাড়ি ফিরছেন তিনি। আরাফাত বলেন, “আমি দুইটি গরু নেব তাই এখানে এসেছি। কিন্তু আসার পর জায়েদ খানকে পছন্দ হয়েছে। তবে দাম আমার বাজেটের থেকে বেশি।“

জায়েদ খানের মালিক মজমুল হক বলেন, “গত ৪ বছর ধরে লালন পালন করছি। প্রতিদিন সাবান-শ্যাম্পু দিয়ে গোছল করাই। এখন আমার গরুটি অনেক বড় হয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে গরুটি দেখতে আসে। কিন্তু আশানুরূপ দাম বলে না। আমরা চাইছি ২০ লাখ। তবে ১৪ লাখ পর্যন্ত দাম উঠেছে।”

Link copied!