• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শোবার ঘরে মিলল বৃদ্ধের গলাকাটা লাশ


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৩, ০৫:৫৫ পিএম
শোবার ঘরে মিলল বৃদ্ধের গলাকাটা লাশ
স্বজনদের আহাজারি । ছবি : সংবাদ প্রকাশ

জয়পুরহাটের কালাইয়ে নিজ বাড়ির শোবার ঘরে সৈয়দ আলী আকন্দ (৭০) নামে এক বৃদ্ধের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধের পরিবারের দুই সদস্যকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) উপজেলার পুনুট ইউনিয়নের শিকটা গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত সৈয়দ আলী আকন্দ ওই গ্রামের মৃত মুতরাজ আলী আকন্দের ছেলে।

স্থানীয় জানায়, বেশ কিছুদিন হলো স্ত্রী মৃত্যুর পর সৈয়দ আলী আকন্দ নিজ বাড়িতে একা বসবাস করতেন। তার তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলে তাদের পরিবারকে নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকেন। অন্য ছেলে ঢাকায় চাকরি করেন। সৈয়দ আলী আলাদাভাবে অনেক জমাজমি চাষাবাদ করতেন। এবার তিনি অনেক জমিতে ধান লাগিয়ে বিক্রি করেন। তিনি তার ফসল বিক্রির টাকা ঘরেই রাখতেন।

বাড়িতে তাকে একা পেয়ে ধান বিক্রি করার টাকা নিতে গিয়ে সৈয়দ আলী তাদের চিনতে পারলে দুর্বৃত্তরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তাদের ধারণা।

সৈয়দ আলীর বড় ছেলে তৈয়ব আলী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আমার বাড়িতে বাবা খাবার খেয়ে তার নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার ভোরে আমাদের জমিতে সার দেওয়ার জন্য এসে দেখি বাবার বাড়ির দরজা খোলা। ঘরে ঢুকে দেখতে পায় বাবার গলাকাটা মরদেহ খাটের ওপরে পড়ে আছে। এ সময় চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।

সৈয়দ আলীর মেজ ছেলে নাজমুল জানান, আমার বাবা প্রায় ২০ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করে। গোয়াল ভরা বিদেশি গরু আছে। এবার ধান বিক্রি করে বাবার কাছে নগদ প্রায় ৮ লাখ টাকা ছিল। তিনি কোনো ব্যাংকেই টাকা রাখতেন না। বাবার কোনো শত্রু নেই। তবে বাবাকে কেন হত্যা করেছে তা জানা নেই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোর্শেদ হক বলেন, সকালে ফোনে জানতে পারলাম, সৈয়দ আলী আকন্দকে কে বা কারা খুন করেছে। পরে বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও কালাই থানায় জানালে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী বলেন, হত্যার ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠনো হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তসহ হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Link copied!