রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ১৯ বছর আগে নিজের মেয়ে রেবেকা খাতুনকে (১৩) হত্যা করেছিলেন বাবা আকসেদ আলী সিকদার। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা ও সৎমা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী জেলা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, “২০০৪ সালে বাঘা উপজেলার লক্ষ্মীনগর গ্রামে রেবেকা খাতুন নামের ওই কিশোরীকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা আকসেদ আলী সিকদার একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর ২০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।”
পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, “দীর্ঘদিন বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয় যে, এই মামলার আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত নন। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত আসামিদের খুঁজে বের করার জন্য আবারো তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত। তদন্ত করতে গিয়ে আমরা জানতে পারি মামলার বাদী আকসেদ আলী গ্রামের প্রতিপক্ষ মোল্লা বংশকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে নিজেই তার মেয়ে রেবেকা খাতুনকে হত্যা করেন। তার দুই স্ত্রী ভায়েলা বেওয়া ও অফিয়া বেওয়া আদালতে গত ৯ এপ্রিল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ সময় তারা স্বীকার করেন, তাদের স্বামী হাসুয়ার কোপে তার মেয়েকে হত্যা করেছেন।”
আবুল কালাম আজাদ বলেন, “এ মামলায় বর্তমানে ২০ আসামি জামিনে আছেন। তবে মূল আসামি আকসেদ আলী ২০১৯ সালে মারা গেছেন।”