• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং : সাগরে তলিয়ে গেছে ১৩ ট্রলার


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২, ০৩:০৯ পিএম
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং : সাগরে তলিয়ে গেছে ১৩ ট্রলার

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ১৩টি ট্রলার ডুবে গেছে। জেটিতে নোঙর করে রাখা ছিল ট্রলারগুলো। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ট্রলার ডুবে যাওয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুজিবুর রহমান জানান, সকাল থেকে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া সাগরও উত্তাল। বৃষ্টির সঙ্গে বাড়ছে বাতাসের তীব্রতা। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্টমার্টিনের ১০ হাজার মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সকালে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলেছে। এছাড়া এসব এলাকার পার্শ্ববর্তী দ্বীপ ও চরগুলোকেও ওই অঞ্চলের বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে সেখানে ৫৭৬টি সাইক্লোন শেলটার বা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ৮৫টি মেডিকেল টিম। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমসহ যাবতীয় সহায়তার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়াও সমুদ্র সৈকতে পর্যটক নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পাঁচ লক্ষাধিক লোক ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্তে উপকূলের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা হাতে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি সব কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলের পাশাপাশি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আট উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতে পর্যটক না নামার জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল ‘সিত্রাং’। এটি আরও ঘনীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোর থেকে সকাল নাগাদ খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

Link copied!