• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

২০ হাজার টাকার জন্য কলেজছাত্র হত্যা, গ্রেপ্তার ৫


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
২০ হাজার টাকার জন্য কলেজছাত্র হত্যা, গ্রেপ্তার ৫
গ্রেপ্তার পাঁচ যুবক। ছবি : সংগৃহীত

পাবনার সদর উপজেলার কলেজছাত্র মিজানুর রহমানকে (২১) মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে তাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন পাবনা পৌর এলাকার চক ছাতিয়ানী মহল্লার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাফিউল ইসলাম রাফি (২৩), একই মহল্লার আব্দুল গাফফারের ছেলে নাঈম ইসলাম (২৪), শালগাড়িয়া নিকারীপাড়া মহল্লার বনি ইসরাইলের ছেলে ইয়াছিন আলী রাহাত (২৩), মধ্য শালগাড়িয়া মহল্লার মৃত ইলিয়াস আলীর ছেলে ইসতিয়াক মাহমুদ মিশন (২৪) ও রাধানগর নারায়ণপুর মহল্লার শফিকুল ইসলাম শফিকের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ (৩৯)।

নিহত মিজানুর সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি আটঘরিয়া সরকারি কলেজে এইচএসসি মানবিক বিভাগে লেখাপড়া করতেন।

বুধবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। তিনি বলেন, ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অভিযুক্ত রাফিউল ইসলাম রাফি তার মোবাইল ফোন দিয়ে কলেজছাত্র মিজানুর রহমানের ফোনে কল করে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের বাংলা বিভাগের পেছনে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন অভিযুক্ত ইয়াছিন আলী রাহাত, নাঈম ইসলাম, শরিফুল ইসলাম শরিফ, ইসতিয়াক মাহমুদ মিশনসহ আরও কয়েকজন।

মিজানুর রহমান আসামাত্রই অভিযুক্তরা তাকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে মিজানুরের মোবাইল ফোন থেকে তার বাবার কাছে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম কল করে ২০ হাজার টাকা দাবি করে এবং বলে টাকা না দিলে তার ছেলের সমস্যা হবে। তখন কোনো কিছু ভেবে না পেয়ে মিজানুর রহমানের বাবা অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনে কথা বলে পাঁচ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়।

কিন্তু নিজেদের চাহিদামাফিক টাকা না পাওয়ায় মিজানুর রহমানকে আবারও মারধর করতে থাকে। মারধরের একপর্যায়ে মিজানুর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিযুক্ত আসামি রাফিউল ইসলাম রাফি, ইয়াছিন আলী রাহাত, নাঈম ইসলাম, অনিক আহম্মেদ রিয়াদ মিলে তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। বাকিরা পাবনায় আত্মগোপন করে থাকে। পরবর্তী সময়ে মিজানুর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ ফেব্রুয়ারি মারা যায়।

এ ঘটনায় পাবনা সদর থানার মামলা দায়ের করেন নিহত মিজানুর রহমানের পিতা শহিদুল ইসলাম। এরপর অভিযানে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এমরান মাহমুদ তুহিনের নেতৃত্বে একটি দল। তারা তথ্য প্রযুক্তি ও সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার সাভার থানার আমিনবাজার এলাকা থেকে প্রথমে রাফিউল ইসলাম রাফি, ইয়াছিন আলী রাহাত ও নাঈম ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পাবনা সদর থানার রাধানগর ডিগ্রি বটতলা এলাকা থেকে শরিফুল ইসলাম শরিফ ও ইসতিয়াক মাহমুদ মিশনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Link copied!