• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

নামাজের মাসাআলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫


ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪, ১০:০৭ এএম
নামাজের মাসাআলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫
এ সময় মসজিদের দরজা-জানালা এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ছবি : সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় মসজিদে নামাজের মাসাআলা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় মসজিদের দরজা-জানালা এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা মাওলানা মহিউদ্দিন ইমামতি করেন। ইশা ও তারাবিহ নামাজ শেষে মসজিদের মুসল্লি একই গ্রামের ঠিকাদার শফিকুর রহমান ইমামের অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু মাসাআলা নিয়ে মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘মসজিদের কোনো মুসল্লিরই নামাজ হয় না’।

উপস্থিত মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ করে। এতে দুই গোষ্ঠীর মুসল্লিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয়পক্ষ মসজিদ থেকে বের হয়েই দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন বলেন, “তারাবিহ নামাজ শেষে কিচকি বাড়ির শফিকুর রহমান আমার কাছে অনুমতি চেয়ে মসজিদে বক্তৃতা করার সময় এ মসজিদের কোনো মুসল্লিরই নামাজ হয় না বলে মন্তব্য করে বসেন। এ নিয়ে বেঁধে যায় হট্টগোল। এরই মধ্যে শফিকুর রহমানের বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মোল্লা বাড়ির লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে মোল্লা বাড়ির পাঁচ-ছয়জন গুরুতর আহত হন।”

এদিকে শফিকুর রহমানের দাবি, তিনি ইমামের অনুমতি নিয়ে নামাজের প্রয়োজনীয় তাসবিহ পাঠের জন্য রুকু, সেজদা ও দাঁড়ানোতে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া ও কাতার সোজা করার গুরুত্ব বিষয়ে সতর্ক করতে ইমামকে অনুরোধ করেন। এতে ইমাম ও মোল্লা বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের ভেতরেই তাকে নাজেহাল করেন।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Link copied!