• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

বিসিসি নির্বাচন : নানা প্রতিশ্রুতিতে চলছে প্রচারণা


বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৩, ০৬:১২ পিএম
বিসিসি নির্বাচন : নানা প্রতিশ্রুতিতে চলছে প্রচারণা

দরজায় কড়া নাড়ছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচন। আর মাত্র ১২ দিন পর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তাই জোরেসোরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়ে দিয়ে আসছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

এবার বিসিসি নির্বাচনে আলোচনায় থাকা প্রার্থীরা হলেন- নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরিনয়াবাত), লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। এর বাইরে গোলাপফুল প্রতীকের মিজানুর রহমান বাচ্চু, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান রুপন, হাতি প্রতীকের আসাদুজ্জামান।

বেশ ফুরফুরে মেজাজেই প্রচার-প্রচারণায় মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন তারা। তবে হরিণ প্রতীকের আলী হোসেন হাওলাদারের প্রচারণার খবর এখনও তেমনভাবে শোনা যায়নি ভোটারদের কাছ থেকে। ভোটাররা বলছেন, বরিশাল নগরে সবচেয়ে বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের। এছাড়া কিছু ভোট রয়েছে জাতীয় পার্টির আর কিছু ভোট রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের।

নৌকা প্রার্থীর সমর্থক আদনান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বরিশালের উন্নয়ন চান বলেই মেয়র পরিবর্তনে খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি ব্যবসায়ী ও ভদ্র মানুষ, অর্থ-বিত্তেও কমতি নেই, তাই বরিশালের উন্নয়ন ঘটাতে হলে খোকন সেরনিয়াবাত ছাড়া বিকল্প কিছু নাই, এটা সাধারণ মানুষও বুঝে গেছে। ১০ বছর ধরে থমকে থাকা বরিশালের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে, নতুন হলেও খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষেই সাধারণ মানুষের সমর্থনের জোয়ার দেখা গেছে। পথাসভা ও উঠান বৈঠকে এর চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছে।”

জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সমর্থক শামীম বলেন, “এবারের নির্বাচনে তাদের প্রার্থী ব্যতিত, স্বতন্ত্র ও দলীয় ৬ প্রার্থীই প্রথমবার মেয়র পদে নির্বাচন করছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই বরিশালের পুরাতন মানুষ। তবে জনপ্রিয়তায় তাপস ভাই এগিয়ে। কারণ, তাপস ভাই গত ৫ বছরে এ নগরবাসীর পাশে সুখে-দুঃখে ছিলেন, আর এ কারণেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের থেকে কম বড় হচ্ছে না, তাপস ভাইয়ের উঠান বৈঠকগুলো। আমার নিশ্চিত তিনি এগিয়ে রয়েছেন অন্যসব প্রার্থীর থেকে।”

এদিকে নির্লোভ, ভালো ও সৎ মানুষ বিধায় হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের পক্ষে নগরবাসী থাকবে বলে জানিয়েছেন সমর্থক সজীব হাওলাদার।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত জানান, তার আগমনে বরিশালের মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। তাকে মানুষ ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন এবং সাধারণ মানুষই তাকে বিজয়ী করার কথা বলছেন।

এদিকে ইসলামী আন্দোলনের বাংলাদেশের প্রার্থীর বিষয়ে জাতীয় পার্টির তাপস বলেন, মাহফিলে হাজার-হাজার, লাখ-লাখ লোক হওয়াটা স্বাভাবিক কিন্তু তারা যে এজন্য ভোট দেবে সেটা চিন্তা করা ঠিক নয়।

যদিও অন্য প্রার্থীর বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তবে তিনি সুষ্ঠু ভোট হলে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী।

Link copied!