• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৩, ০৩:১০ পিএম
এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে রয়েছে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম বটগাছ। ১১ একর জমিজুড়ে রয়েছে এর বিস্তৃতি। এর উচ্চতা ২৫০ থেকে ৩০০ ফুট। বর্তমানে বটগাছটি খণ্ড খণ্ড হয়ে ৫২টি বটগাছে রূপ নিয়েছে। বটগাছটির বয়স ৩০০ বছরের বেশি বলে দাবি স্থানীয়দের।

এটি সুইতলার বটগাছ, কারও কাছে সুইতলা মল্লিকপুরের বটগাছ আবার কারও কাছে বেথুলীর বটগাছ বলে পরিচিত। তবে সুইতলা নামে কোনো গ্রাম কিংবা কোনো স্থানের অস্তিত্ব নেই সেখানে। চলতি পথে মানুষ এই বটগাছতলায় বিশ্রাম করতেন বলেই এই নামটি প্রচলিত হয়েছে বলে জানা যায়। বিবিসির এক জরিপে একে এশিয়ার সবচেয়ে বড় বটগাছ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

এই স্থানটির মালিক ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলার রায় গ্রামের জোতদার নগেন সেনের স্ত্রী শৈলবালা সেন। পরে এটি খাস হয়ে যায়। আগে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা নির্দিষ্ট তিথিতে গাছতলায় পাঁঠা বলি দিতেন। এ গাছের নিচে একটি কালীপূজার বেদি স্থাপিত হয়েছে। এখনো সব ধর্মের মানুষ তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী বিভিন্ন মানত, সিন্নি, পূজা অর্চনা করে থাকেন।

স্থানীরা জানান, একটি কুয়ার পাড়ে ছিল এ গাছের মূল অংশ। তখন জনবসতি ছিল খুবই কম। সড়কের পাশে এ গাছটি ছিল ডালপালা পাতায় পরিপূর্ণ। গাছের তলায় রোদ-বৃষ্টি পড়ত না। মাঘ মাসের শীতের রাতেও গাছের নিচে গরম থাকত। গ্রীষ্মে গাছের নিচে লাগত ঠান্ডা। এই বটগাছের জন্ম যে কুয়ার পাড়ে সেই কুয়া কে, কবে, খনন করেছিলেন, তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি।

গাছটির দায়িত্বে থাকা স্টাফদের সুবিধার্থে এখানে ১৯৯০ সালে সরকারিভাবে একটি স্টাফদের ব্যারাক নির্মাণ করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণ না করায় সেটিও এখন আর বাসযোগ্য নয়।

স্থানীয় নাজমুল হোসেন মোল্লা নামের একজন জানান, বটগাছের ওপর আগে বেশ অত্যাচার হতো। ডালপালা কেটে নেওয়া, সীমানাপ্রাচীর ভাঙচুর করা হতো। এখন একজন গার্ড সেখানে নিয়োগ দেওয়া আছে।

শাহীন আলম নামে একজন জানান, মল্লিকপুরের এই বটগাছটি দেখতে দেশ বিদেশ থেকে বহু লোকজন আসেন। কিন্তু এখানে একটি রেস্টহাউস নির্মাণ করার প্রয়োজন।

সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “গাছটি যেভাবে দেখাশোনা করার দরকার আমরা সেভাবে দেখা শোনা করছি। সেখানে দুজন লোক দায়িত্বে আছে। তারা সার্বক্ষণিক দেখভাল করে। তার মধ্যে একজন অস্থায়ীভাবে কাজ করে। পাশেই যে স্টাফদের ব্যারাক আছে, সেটি কিছুটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বরাদ্দে এলে এটিও সংস্কার করা হবে।”

Link copied!